জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উৎসবের মেজাজে সেজে উঠেছে শহর। মহালয়ার পর থেকেই পুজো শুরু হয়ে গেছে কলকাতায়। শ্রীভূমি, টালা প্রত্যয়, সুরুচি সঙ্ঘের মতো বড় পুজোগুলি ছাড়াও দমদম পার্ক, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, রাসবিহারীর মতো পুজো প্যান্ডেলেও দেখা যাচ্ছে মানুষের ঢল। শুধু মধ্যরাতই নয় ভোর পর্যন্ত প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। তবে এই উৎসবের দিনে রাস্তায় বাসের চূড়ান্ত অভাব দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় কিছুটা সুখবর দিল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী (West Bengal Transport Minister) স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বুধবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন থেকেই কলকাতায় সারারাত মিলবে সরকারি বাস।
তিনি বলেন, 'অনেকেই জেলা থেকে পুজো দেখতে কলকাতায় আসেন। প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শনের পর যাতে হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন এবং বারাসতে পৌঁছাতে তাঁদের কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য সারারাত সরকারি বাস পরিষেবা চালু থাকবে। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কলকাতায় ধাপে ধাপে সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। চতুর্থী এবং পঞ্চমী এই দুই দিনই রাজ্যের পরিবহণ নিগমের পক্ষ থেকে ৪০০ অতিরিক্ত বাস চালানো হবে প্রথম অর্ধে। ষষ্ঠী থেকে পুজোর বাকি দিনগুলিতে দ্বিতীয় অর্ধে বাড়বে বাসের সংখ্যা। পুজোর দিনগুলিতে সরকারি বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। সকাল ১০টার পর ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে বাস। পুজোর সময় রাস্তায় অতিরিক্ত ইলেকট্রিক বাসও রাস্তায় নামানো হবে। সেই জন্য ওই দিনগুলিতে যাতে বিভিন্ন ডিপোয় চার্জিং স্টেশনগুলি রাত পর্যন্ত খোলা থাকে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।'
তবে প্রতিবছরই বেসরকারি বাস পরিষেবার ক্ষেত্রে একটি অভিযোগ ওঠে যে এক রুটের বাস চলে অন্য রুটে। আবার কোথাও কোথাও কাটা রুটেও বাস চলে। ফলে সারা রাত ঠাকুর দেখে অনেক সময়েই দর্শনার্থীরা নিজেদের বাড়ির রুটে বাস পেতে নাকাল হন। এবারেও সেই সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেই কারণে শহর কলকাতার পুজোর ভিড় টানার ক্ষেত্রে এবারেও মেগামাল্টার হতে পারে সেই মেট্রো রেলই। সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ও রবিবার মিলিয়ে দক্ষিণেশ্বর থেকে করিউ সুভাষ রুটের মেট্রোয় লক্ষের বেশি যাত্রী হয়েছে। তবে সরকারি ভাবে এখনও কিছু এই বিষয়ে জানানো হয়নি। পুজোর কয়দিন মূলত পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে মেট্রো নতুন রেকর্ড গড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।