আজ, সোমবার নবান্নে স্বাস্থ্যসচিব, কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে প্রিন্সিপালদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যসচিব মুখ্যসচিব। বৈঠক শেষে মুখ্য়সচিব জানান, 'যে মূলত আমাদের নির্দেশিকায় ছিল, প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো, ডিউটি রুম, রেস্ট রুমের তৈরি বা সংস্কার করা। ওয়াশ কম তৈরি বা সংস্তার করা এবং আলোর ব্যবস্থা করা। এই চারটে নির্দেশ ছিল সুপ্রিম কোর্টের। আগেই আমরা নির্দেশ দিয়েছি। ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে'।
কাজ কতটা এগিয়েছে? মুখ্যসচিব জানান, 'কাজ সব জায়গাতেই চলছে। এখনও পর্যন্ত যেটা খবর পেয়েছি, সিসিটিভি বসানোর কাজ ৪৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়ে গিয়েছে। ডিউটি তৈরি ও সংস্কারের কাজ যেটা ৬৭৮ টা করার কথা ছিল, ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ওয়াশ রুমে তৈরি বা সংস্কারের কাজ ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাড়তি আলোর কাজ ৬১ শতাংশ শেষ হয়েছে'।
মুখ্যসচিবের আরও বক্তব্য, 'কাজ করতে গেলে প্রাথমিক যে সমস্যা হয়। যেমন, সিসিটিভির ক্ষেত্রে এসসঙ্গে এত ক্যামেরার ব্যবস্থা করা। সব সমস্যা মিাটে গিয়েছে। সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই। ইনস্টলেশনের কাজ চলছে। ৯০ শতাংশেরও বেশি কাজ ১০ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পুজোর সময়ে আছে, আশা করছি, সব জিনিস পুরোপুরি চালু করতে ১৫ তারিখের মধ্যে সক্ষম হব। এই লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি। শুরুতে অগ্রগতি একটু কম থাকে। ধীরে ধীরে অগ্রগতি হয়'।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা ও সিসিটিভির প্রসঙ্গ ওঠে। রাজ্যের কাছে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, সব হাসপতালে সিসিটিভি, এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা নিয়ে কী পদক্ষেপ?' জবাবে রাজ্য জানায়, 'আমার করছি। আরও কিছুটা সময় লাগবে। বন্যার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ২৬ শতাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ১৫ অক্টোবর মধ্যে হয়ে যাবে'। শুধু তাই নয়, জুনিয়র চিকিত্সকের সঙ্গে আরও সময় চেয়ে নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বলেছিলেন, 'প্রতিশ্রুতিমতো সবকিছুই হবে'।
এদিকে দাবি পূরণে সরকার ডেডলাইন দিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জুনিয়র চিকিত্সক। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলি না মানা হয়, আমরা নিজেদের জীবন বাজি রাখব। এই মঞ্চ থেকে আমরা আমরণ অনশনের দিকে এগোব'। সেইমতোই শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় চলছে অনশন।