লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন হুমায়ুন! তৃণমূল বিধায়কের নামে থানায় অভিযোগ দলেরই কর্মীদের
আনন্দবাজার | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
আবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হল অভিযোগ। বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের বেশ কয়েক জন কর্মী। অভিযোগ, ফেরিঘাটের লিজ় পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন হুমায়ুন। সেই সঙ্গে বিধায়কের তরফে দেওয়া ব্যাঙ্কের চেক বাউন্স করেছে বলে অভিযোগ। যদিও বিধায়কের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ ষড়যন্ত্র করেছেন। আইনি পথেই এর জবাব দেবেন তিনি।
নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে কতবীর আলি শেখ নামে এক অভিযোগকারী বলেন, ‘‘ভরতপুরের লোহাদহ ঘাটে লিজ় পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তবে লিজ় মেলেনি। উল্টে টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাদের যে দুটি চেক (ব্যাঙ্কের) দেওয়া হয়, সেগুলো বাউন্স করে। এটা প্রতারণা।’’ অভিযোগকারীরা সকলেই ভরতপুর থানার বাসিন্দা। কারও বাড়ি জোড়গাছি, কারও লোহাদহ তো কেউ থাকেন ভালুইপাড়ায়। থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ সক্রিয় কর্মী। সে জন্য বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিধায়ক সাহেব আমাদের বলেন, ‘তোমরা যদি লোহাদহ ফেরিঘাট, আমলাই অঞ্চল, ভরতপুর থানার ঘাটটি এক বছরের জন্য লিজ়ে নিতে চাও তবে ১৪ লক্ষ টাকা লাগবে। কিন্তু সেই টাকা নেওয়ার পরেও লিজ় দেওয়া হয়নি। টাকাও ফেরত পাওয়া যায়নি।’’ অভিযোগকারীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘‘ঘাটের লিজ় দেওয়ার মালিক তো বিধায়ক নযন। নির্দিষ্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ঘাটের স্বত্ব হস্তান্তর হয়। আমার বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত নোংরামো চলছে, তার জবাবও যথাযথ জায়গাতেই দেব।’’
উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে ‘কুমন্তব্য’ করায় হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে চিঠিও দেয় চিকিৎসকদের সংগঠন।