৭৫-এ পা দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ
আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
দেবস্মিতা: কী রে কেমন আছিস? আরে, তুমি? টুকরো টুকরো কথাগুলো ভেসে আসছিল কানে। এ যেন মিলন মেলা। স্থান কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কারও বয়স ৭০ এর দোরগোড়ায় তো কেউ আবার সদ্য পা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠে।
সোমবার ৭৫ এ পা দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ। সালটা ১৯৫০, ৭ অক্টোবর, চালু হল সাংবাদিকতার পঠনপাঠন। দু’বছরের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্সের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়। বিচারপতি শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ৷ আজ পৌঁছেছে ২০২৪ সালে। এর মধ্যে কত রথী মহারথী বেরিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ঠিক নেই। এক মাইলফলক ছুঁল বিশ্ববিদ্যালয়। সেটা স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর। তিনি নিজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, এমনকি বেশ কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন অতিথি শিক্ষকেরও। এদিন আজকালকে বলেন, আমি প্রেস ক্লাবের সভাপতি হিসেবে নয়, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমি এসেছি। আমি চাই এই বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাক, অনেক সাংবাদিক উঠে আসুক। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বা বলা চলে এখানের প্রাক্তনীরা।
এদিন ডায়াসে ছিলেন বর্তমান উপাচার্য শান্তা দত্ত দে, রেজিস্টার দেবাশিস দাস, বিভাগীয় ডিন পীযুষকান্তি পানিকগ্রাহী, শিক্ষক সৌরেন্দ্রনাথ বেরা সহ অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট হলে প্রথমে বক্তৃতা রাখেন বিভিন্ন ব্যক্তিত্বরা। স্মৃতিচারণ করা হয় ফেলে আসা সেই দিনগুলোর। উন্মোচন হয় ডাকটিকিটের।
এরপর শোভাযাত্রা বেরোয় কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস থেকে রাজা সুবোধ মল্লিকের বাড়ি পর্যন্ত। নবীন থেকে প্রবীণ হাতে বেলুন আর মেরুদণ্ড সোজা রেখে সাংবাদিকতার জয়ধ্বনি দিতে দিতে পা মেলায় তারা।
এই মাইলফলক ছোঁয়া উপলক্ষ্যে বছরভর কর্মসূচি নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং কনভেনশনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ ছাত্র-ছাত্রী এবং তরুণ গবেষকদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে৷ সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপনের পেশাজীবীদের নানা সংগঠন এবং অ্যাকাডেমিক সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথভাবে কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের একটি জার্নাল প্রতি ছ'মাস অন্তর নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হবে।