ষষ্ঠীর বিকেল থেকেই চাঁচল সদরে গাড়ির নো এন্ট্রি, ড্রোনে নজরদারি
বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, চাঁচল: চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকেই চাঁচল সদরের পুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়। দেবী দর্শনে সোমবার থেকেই ছোটরা বাবার হাত ধরে পৌঁছেছে মণ্ডপে। কিন্তু এলাকার প্রবীণরাও যাতে দেবী দর্শনের সুযোগ পান, সেই ব্যবস্থা নিয়েছে মালদহের চাঁচল থানা। টোটোতে চাপিয়ে চাঁচল সদরের বেশকয়েকটি মণ্ডপের দুর্গা প্রতিমা দর্শন করানো হবে বয়স্কদের। ইতিমধ্যে সেই সুযোগ দেওয়ার আবেদন করেছেন চাঁচলের প্রবীণ নাগরিকরা।
পাশাপাশি সকল দর্শনার্থী যাতে নির্বিঘ্নে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে চাঁচল থানার পুলিস। মূলত চাঁচল থানার ৮৬ টি পুজো কমিটি (সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত) এবছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করছে। তারমধ্যে চাঁচল সদরে রয়েছে ১৮ টি। এরমধ্যে বেশিরভাগই বিগবাজেটের পুজো। প্রতিবছর অষ্টমী থেকে দশমীর সন্ধ্যা পর্যন্ত থিক থিক ভিড় লক্ষ্য করা যায় কলেজ রোড, বাজার রোড ও সামসি রোডে। দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় পুলিস নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে। খাকি পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিসও ভিড়ে মিশে থাকবে। ড্রোনেও নজরদারি চলবে।
নেতাজি মোড়, রাজীব মোড় ও দুর্গাবাড়ি মোড়ে সহায়তা ক্যাম্প চালু রাখবে পুলিস। কমবয়সীরা নিখোঁজ হলে যাতে সহজে খোঁজ মেলে সেজন্য তাদের গলায় পরিচয়পত্র ঝোলানোর ব্যবস্থা থাকছে। দর্শনার্থীদের তৃষ্ণা মেটাতে প্রতিটি ক্যাম্পে পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকছে। নেতাজি মোড়ে ক্যাম্পে মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ খুলছে পুলিস। বাল্য বিবাহ রোধ, সাইবার প্রতারণা নিয়ে মানুষকে সচেতন করবে পুলিস।
যানজটের কথা মাথায় রেখে চাঁচল সদরের চারটি রুটে নো-এন্ট্রি পয়েন্ট করা হচ্ছে পুলিসের তরফে। তারমধ্যে রয়েছে শান্তিমোড়, পাঞ্চালি মোড়, মানিকনগর মোড় ও সিঙ্গিয়া মোড়। ষষ্ঠীর বিকেল থেকেই নো এন্ট্রি পয়েন্টগুলি চালু হবে। রাতে কোনও ভারী যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হবে না সদরে।
প্রতিটি মণ্ডপে থানা ও পুলিস আধিকারিকদের ফোন নম্বরের তালিকা ঝোলানো হবে। চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে পুলিস তৎপর থাকবে। পুজোর দিনগুলিতে পুলিস টহল দেবে এলাকায়। কড়া নজরদারি থাকবে চাঁচল সদরজুড়ে।