মঙ্গলবার সাত সকালে জয়নগরে উত্তেজনা। এ দিন ৯ বছরের নাবালিকার মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের কণ্ঠে ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। মাঝপথে মিছিল আটকায় পুলিশ। এরপরেই রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যদিও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের মিছিল করতে বাধা দেওয়া হয়। পরিস্থিতি পরে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নাবালিকার দেহ অন্ত্যেষ্টির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, মৃত নাবালিকার ময়নাতদন্ত করা হবে কল্যাণী এমস-এ। সেখানে যদি পরিকাঠামো না থাকে সেক্ষেত্রে কল্যাণী জেএনএম-এ করা হবে ময়নাতদন্ত। কিন্তু সেই হাসপাতালের কেউ সেখানে থাকতে পারবে না বলে জানানো হয়।
সোমবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ নাবালিকার দেহ কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সেখানেই ময়নাতদন্ত শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে এবং দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ শেষ হয়। এ দিকে সোমবার ময়নাতদন্তের আগে নাবালিকার দেহের ছবি তোলার চেষ্টা করে এক ডোম, পুলিশ সূত্রে খবর এমনটাই। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁর ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
গত শুক্রবার জয়নগরের মহিষমারিতে কোচিং থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় নাবালিকা স্কুল ছাত্রী। শনিবার ভোররাতে তার বাড়ির অদূরে জলাভূমি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ জনকে। জয়নগরের ঘটনায় ৩ মাসের মধ্যে বিচার করে অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।