ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: পুজোর মুখে চিকিৎসা পরিষেবা আরও অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের তরফে সোমবার গভীর রাতে জানানো হয়েছে, দাবিপূরণে সরকার সদর্থক পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টার রিলে অনশন চালাবেন। ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চেই নিজেদের কর্মসূচি পালন করবেন সিনিয়ররা। সংগঠনের ঘোষণা, ”৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে, সদর্থক ও গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র বের না হওয়া অবধি প্রত্যহ সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা, বারো ঘন্টা করে রিলে অনশন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়িত করতে চলেছি।” এদিকে, মঙ্গলবার, পঞ্চমীর দিন রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন রয়েছে। বিকেলে কলকাতায় মিছিলে হাঁটবেন আন্দোলনকারীরা।
জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবিপূরণে অনশন শুরু হয়েছে ধর্মতলায়। সেখানে যোগদানকারীর সংখ্যা বাড়ছে। জুনিয়রদের এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ জানিয়ে সোমবার থেকেই ৩ থেকে ৪ জন সিনিয়র চিকিৎসক অনশনব মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা সকলেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী। আর রাতে সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ”আমরাও বাধ্য হলাম…”। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিপূরণে সরকার কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নিচ্ছে না, উপরন্তু আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের জুলুমবাজি চলছে ? এধরনের একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের কার্যত হুঁশিয়ারি, ”জুনিয়র ভাই বোনদের দাবীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং তাদের এই আপোসহীন অকুতোভয় আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রত্যহ সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা, বারো ঘন্টা করে রিলে অনশন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়িত করতে চলেছি।”
পাশাপাশি সংগঠনের আরও বক্তব্য, ”প্রশাসন সমস্ত রকম অসংবেদনশীল উপাদান দূরে সরিয়ে রেখে এবং অনভিপ্রেত কোনো অগণতান্ত্রিক প্রশাসনিক প্রকরণ প্রয়োগে উৎসাহী না হয়ে, অনতিবিলম্বে সুস্থ আলোচনা মোতাবেক তাদের জরুরি দাবিগুলোর প্রতি সুবিচার করুক। নচেৎ সামাজিক ক্ষোভের তরঙ্গ যেভাবে আন্দোলিত হচ্ছে, তাতে অচিরেই ধর্মতলার ধর্ণা মঞ্চ গণ-অনশন মঞ্চে পর্যবসিত হবে এবং রাজ্যের বুকে যার অভিঘাত মোটেই সুখকর হবে না।” আর সিনিয়র ডাক্তারদের এহেন কর্মসূচিতে উৎসবের মরশুমে আরও অনিশ্চিত হতে চলেছে চিকিৎসা পরিষেবা, যার ফল ভুগতে হবে দরিদ্র রোগীদের, তা বলাই বাহুল্য।