• জয়নগর কাণ্ডের তদন্তে ৭ সদস্যের সিট গঠন, এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা
    এই সময় | ০৮ অক্টোবর ২০২৪
  • মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল জয়নগর। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে ছাত্রীর মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করেন পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশীরা। জয়নগরের গরানকাটি এলাকায় এসডিপিও গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখানো হয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে, জনয়নগর কাণ্ডে তদন্তের জন্য স্পেশাল তদন্তকারী টিম তৈরি করল বারুইপুর পুলিশ।জয়নগর কাণ্ডে তদন্তের জন্য মোট ৭ সদস্যের স্পেশাল তদন্তকারী টিম তৈরি করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এই টিমে রয়েছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস, জয়নগরের সিআই সুবীর ঢালি, এসআই ত্রিদিব মল্লিক, এসআই সৌমেন দাস ও এসআই তন্ময় দাস।

    মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিতার দেহ নিয়ে মিছিল করেন গ্রামবাসীরা। সেই সময়ই গ্রামে যান এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। পুলিশের গাড়ির চাবিও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা বলে অভিযোগ উঠেছে। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গ্রামে ঢোকেন এসডিপিও। সকালে গরানকাটিতে একটি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একজন লেডি কনস্টেবল অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গাড়িতে। সেই সময় গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘গ্রামে গাড়ি ঢোকানো যাবে না। পুলিশ বলছে, আমাদের গাড়িতে রোগী আছে। তোমরা সরে যাও, না হলে গায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেব। তখনই আমাদের ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।’

    অন্যদিকে, আজ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা রেখে দোষীর চরম শাস্তির দাবি জানান জয়নগরের সাংসদ। ঘটনার পর শনিবার তিনি দেখা করার জন্য এলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। দেখা না করেই চলে যেতে হয় তাঁকে। এদিন অবশ্য পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়।
  • Link to this news (এই সময়)