গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো সফরের জন্য আর হাওড়া ময়দানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, শোভাবাজার বা শ্যামবাজার মেট্রোতে নামলেই হবে। নেপথ্যে উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজোর থিম। গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো সফর নিয়ে কৌতুহল ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর সেই 'ঐতিহাসিক' সফরের ঝলক মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলেছে এই পুজো। থিম হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে ‘প্ল্যাটফর্ম হাওড়া ময়দান’।জগৎ মুখার্জি পার্কের বিশেষ থিম
২০১৬ সালে 'ডাউন বনগাঁ লোকাল'-এর থিমে সেজেছিল জগৎ মুখার্জি পার্ক-এর পুজো। সেই থিম রীতিমতো হইচই ফেলেছিল। থিমের 'মাস্টারমাইন্ড' ছিলেন শিল্পী সুবল পাল। এই বার তিনি তাঁর ট্রেন এবং মেট্রো সফরের পার্ট-২ হিসেবে নিয়ে এসেছেন 'হাওড়া ময়দান প্ল্যাটফর্ম'। মণ্ডপে ঢোকার মুখে ঠিক মেট্রো গেটের মতো করে লেখা ‘প্রবেশ’। পুরো মণ্ডপটিই মেট্রো রেলের কামরার মতো করে সাজানো হয়েছে। কামরাগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মেট্রোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে চলমান সিঁড়িও। রয়েছে বিশেষ স্মার্ট কার্ডও। আসলে এই স্মার্ট কার্ডগুলি ভিআইপি পাস। তা নির্দিষ্ট গেটে ঠেকালেই খুলছে ভিআইপি গেট। মণ্ডপের মধ্যে তৈরি করা হাওড়া ময়দান প্ল্যাটফর্মে নামলেই সপরিবারে মা দুর্গাকে দেখা যাবে।
উপচে পড়ছে ভিড়
অভিনব এই থিম দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। পঞ্চমীর সকাল থেকেই রীতিমতো উপচে পড়া ভিড়। দর্শনার্থীরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য থিমের তুলনায় বেশ আলাদা জগৎ মুখার্জি পার্কের এই পুজো। পঞ্চমীর সকালে চুঁচুড়া থেকে ঠাকুর দেখতে আসা তিতির বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই মণ্ডপের সজ্জা একেবারেই আলাদা। মনে হচ্ছে সত্যিই মেট্রো স্টেশনের মধ্যে রয়েছি। আমি হাওড়া ময়দান মেট্রোয় চড়িনি। ফলে সব মিলিয়ে আলাদা রকমের অনুভূতি।’
কী ভাবে যাবেন এই পুজো মণ্ডপে?
থিম ‘প্ল্যাটফর্ম হাওড়া ময়দান’ হলেও জগৎ মুখার্জি পার্কের এই পুজোতে পৌঁছনো যাবে শ্যামবাজার বা শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে নেমেই। উত্তর কলকাতার এই দুই মেট্রো স্টেশন থেকে প্যান্ডেলটির দূরত্ব ঢিল ছোড়া। হেঁটেই সেখানে পৌঁছনো সম্ভব।