এদিন সকাল থেকেই জয়নগরের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন স্থানীয় জনতা। তখন সেখানে এসে পৌঁছয় পুলিশের গাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, গাড়িতে একজন অসুস্থ রোগী আছে বলে দাবি কার হয়। কিন্তু সেই রোগী কে তা জানাতে পারেনি পুলিশ। এমনকী বিক্ষোভকারীরা নিজেদের গাড়িতে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে চাইলে তাও দেয়নি পুলিশ। এর পরই তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় চটি, ইঁট, পাথর। ভাঙা হয় পুলিশের গাড়ির কাচ। এর পর কোনওক্রমে গাড়ি ঘুরিয়ে এলাকা ছেড়ে পালান চালক।
এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারুইপুরের SDPO অতীশ বিশ্বাস বলেন, এখানে কিছু লোক প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমাকেও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যেতে বাধ্য করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।
এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। তাঁকে ঘিরেও তুমুল বিক্ষোভ দেখায় জনতা। গো ব্যাক স্লোগান তোলে তারা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘গাড়িতে করে এক সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। আমাদের বলে রোগী আছে। আমরা রোগীকে দেখতে চাইলে দেখাতে পারেনি তারা। ধর্ষককে ফাঁসি না দিতে পারলে পুলিশের কপালে আরও দুঃখ আছে। গোটা এলাকায় আগুন জ্বলবে।’