কল্যাণী এইমসের পরিকাঠামো দিল্লির মতো করতে হবে, সময়সীমা বেঁধে নির্দেশ হাইকোর্টের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ অক্টোবর ২০২৪
আজ মহাপঞ্চমী। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে কলকাতা থেকে জেলা। আর তার মধ্যেই কল্যাণী এইমস হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২২ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে কল্যাণী এইমস হাসপাতালের পরিকাঠামো দিল্লি এইমস হাসপাতালের সমতুল্য করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ।
জয়নগরের নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় এইমস এবং রাজ্য। আর তারপর কল্যাণী এইমস হাসপাতালের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, এইমস হাসপাতালে পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা থাকার জেরে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া। কল্যাণী এইমস হাসপাতালের মতো জায়গায় পরিকাঠামোর সমস্যা থাকার কথা শুনে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘জেএমএম হাসপাতালের মতো রাজ্যের একটি প্রান্তিক হাসপাতালের পরিকাঠামোর সাহায্য যদি নিতেই হয় সেক্ষেত্রে এইমস তৈরি করে লাভ কি!’
এই কথা শুনে বেশ চাপে পড়ে যান কল্যাণী এইমস হাসপাতালের পক্ষের আইনজীবী। কোনও উত্তর দিতে পারেননি। এই আবহেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, ‘ভাবতেও অবাক লাগছে, এতগুলি বছর ধরে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে যাঁরা ডাক্তারি পড়েছেন তাঁরা কি ময়নাতদন্তের প্র্যাক্টিকাল না করেই পড়াশোনা শেষ করেছেন?’ সুতরাং এবার কল্যাণী এইমস হাসপাতাল নিয়ে আরও বড় প্রশ্ন উঠে গেল। এই শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের সচিবকে কল্যাণী এইমস হাসপাতালের পরিকাঠামো দিল্লি এইমস হাসপাতালের সমতুল্য করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও।
জয়নগরের নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গোটা পরিবার। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, কল্যাণী এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই নাবালিকার ময়নাতদন্ত করবেন। যদি কল্যাণী এইমস হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাব থাকে সেক্ষেত্রে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহার করা যাবে। তবে জেএনএম হাসপাতালের কেউ ময়নাতদন্তে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ওই নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয় এবং তারপর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।