সেরা পুজোর খোঁজে মাথাভাঙায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিচারকরা
এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়, কোচবিহার: সেরা পুজোর খোঁজে মণ্ডপে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানের বিচারকরা। সোমবার চতুর্থীর রাতে কোচবিহারের মাথাভাঙা দক্ষিণপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। পুজো কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, পঞ্চমীর দিন মণ্ডপ পরিদর্শনে আসার কথা থাকলেও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক-সহ বিচারকরা ২৪ ঘণ্টা আগেই মণ্ডপে হাজির হন।এই নিয়ে তর্কাতর্কির মাঝে কমিটির সদস্যরা বিচারকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, পুজো নিয়ে অবিচার করেছেন বিচারকরা। যদিও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অঙ্গিরা দত্ত বলেন, ‘বিশ্ব বাংলা সেরা পুজোর প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময়েই কমিটির কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ৫ থেকে ৮ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনও দিন মণ্ডপ পরিদর্শনে যাওয়া হবে। সোমবার রাতে ফোন করে যাওয়ার কথা জানানো হয়। ফোন করার দেড় ঘণ্টা পর বিচারকরা ওই পুজো মণ্ডপে গিয়েছিলেন। এখানে অবিচার, বিতর্কের কোনও ব্যাপার নেই৷’
জানা গিয়েছে, গত বছর বিশ্ব বাংলা সেরা পুজোর তালিকায় স্থান পেয়েছিল মাথাভাঙা দক্ষিণপাড়া পুজো কমিটি। এ বার ৪৪তম বর্ষে তারা গুজরাটের অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। বাজেট ৪০ লক্ষ টাকা৷
মাথাভাঙা দক্ষিণপাড়া পুজো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বসুনিয়া বলেন, ‘তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, পঞ্চমীর রাতে পুজো পরিদর্শনে আসবেন বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানের বিচারকরা৷ চতুর্থীর রাতে বিচারকরা যখন আসেন তখন মণ্ডপ সজ্জার কাজ শেষ হয়নি। বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান-এর আশায় কমিটির সদস্যরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু বিচারকরা আমাদের পুজো নিয়ে অবিচার করেছেন৷’
জানা গিয়েছে, এ বছর কোচবিহার জেলার সেরা বারোটি পুজোকে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ দেবে রাজ্য সরকার। আজ, বুধবার সন্ধ্যায় ল্যান্সডাউন হলে সেরা পুজো, সেরা মণ্ডপ সেরা প্রতিমা ও সমাজ সচেতনতা- এই চারটি বিভাগে মোট ১২টি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হবে৷ তার আগেই সরকারি এই পুরস্কার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ বছর জেলার মোট ৪৩টি পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন বিচারকরা।