কর্তব্যরত অবস্থায় কাউন্টারে বসেই মদ খাওয়ার অপরাধে ছ’জন বুকিং ক্লার্ককে বদলি করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের মেন বুকিং কাউন্টারে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। কমার্শিয়াল বিভাগ সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে ইন্সপেক্টর ওই কাউন্টারে গিয়ে মদের বোতলের ছড়াছড়ি দেখে ঊর্ধ্বতনদের জানান। এর পরই তদন্তে ছজনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় হাওড়া ডিভিশন। বদলি করা হয় প্রত্যেককে। আধিকারিকদের কথায়, এধরণের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কাউন্টারে এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য এই ব্যবস্থা।
মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষায় খামতি রাখা চলবে না। পুজোর আগেই মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণে ছদিনে গ্রেপ্তার ৩৩৫ জন। পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরমশিব জানিয়েছেন, রোজই কয়েকশো জনকে গ্রেপ্তার করা হয় মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্য। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত একই অপরাধে গ্রেপ্তার সতেরো হাজারের বেশি। আগে বছরে পয়ত্রিশ হাজারের মতো গ্রেপ্তার হতো এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে শিয়ালদহ, হাওড়া, মালদা এবং আসানসোল ডিভিশনে বাড়তি সুরক্ষা গড়ে তোলা হয়েছে। রেলের সুরক্ষা বাহিনী কড়া নিরাপত্তা গড়ে তুলেছে এজন্য। ফলে ধরা পড়ছে এমন সব অপরাধী।
‘অপারেশন উমেন সেফটি’র অধীনে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করে নজরদারি চালাচ্ছেন আরপিএফ জওয়ানরা। চলতি মাসের ছদিনে মহিলা যাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করার অভিযোগ ৩৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ৩৩৫ জনের মধ্যে শিয়ালদহ শাখায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭৮ জন যাত্রী। রেলের আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকী জরিমানা বাবদ অভিযুক্তদের কাছ থেকে ২৩ হাজার ২০০ টাকা আদায় করেছে রেল। মহিলা কামরায় উঠলেই গ্রেপ্তার করার মতো অভিযান জারি থাকবে বলে জানান আইজি।