সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। আসল দোষী কে? নেপথ্যে কি ষড়যন্ত্র? বৃহত্তর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি? সোশাল মিডিয়া ও একাধিক সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে নতুন-নতুন তত্ত্ব। ঘটনাপ্রবাহের অভিমুখ এতটাই জটিল যে সত্যের শিঁকড়ে পৌঁছনো ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টেও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে! ৯ আগস্টের টাইমলাইন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল আদালতে। কিন্তু সেই সমস্ত প্রশ্ন, বিতর্কের প্রতিফলন নেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে। বরং কলকাতা পুলিশের তদন্তের অভিমুখ যে সঠিক ছিল তাও ইঙ্গিত করেছে এই চার্জশিট।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত মিলেছিল! ধর্ষণ-খুনের নেপথ্যে সঞ্জয় রায় ছাড়াও অন্য কেউ ছিল বলেও দাবি করা হচ্ছিল। এমনকী ময়নাতদন্তেও গরমিল ছিল বলে সোশাল মিডিয়ায় বার বার দাবি করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর বলে, নানা তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছিল। এমনকী, সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে বার বার প্রশ্ন তুলেছিলেন, কর্তব্যরত ডাক্তারের মৃত্যু থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের, ক্রাইম সিন ঘিরে ফেলার সময় নিয়েও। কিন্তু সিবিআই চার্জশিটে সেই সমস্ত প্রশ্নের কোনও উল্লেখ নেই। যে সমস্ত অসঙ্গতির ছড়িয়েছিল তার উল্লেখ নেই চার্জশিটে। যা নিয়ে কুণাল ঘোষ বলছেন,”পুলিশ নিজে থেকে এফআইআর করতে পারে না। অথোরাইজড ডাক্তার যতক্ষণ না বলছেন পুলিশ নিজে থেকে মৃত বলে ঘোষণা করতে পারে না। চার্জশিট থেকে এটা প্রমাণিত, পুলিশের পদ্ধতিগত কোনও ভুল ছিল না।”
আবার ময়নাতদন্তের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ক্লিনচিট দিয়েছেন এইমসের চিকিৎসকরাই। জানিয়ে দিয়েছে, সুরতহাল বা ময়নাতদন্তে কোনও ভুল ছিল না। এমনকী, ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া শেষে স্বাক্ষর করেছিলেন ৫ জুনিয়ার ডাক্তারও। অথচ এ বিষয়টা নিয়েও সোশাল মিডিয়া থেকে সুপ্রিম কোর্ট, সর্বত্র বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছিল। কিন্তু সিবিআই চার্জশিটে সেরকম কোনও গরমিলের উল্লেখ নেই।
এমনকী, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রেরও কোনও উল্লেখ। যদি থাকেও তার উল্লেখ নেই এই চার্জশিটে। তবে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত চার্জশিট আসতে পারে। সেখানে উল্লেখ করা হলেও হতে পারে।