রেড পান্ডা সংরক্ষণে বিশ্বের সেরা তিনের লিস্টে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা
এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
সঞ্জয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি
রেড পান্ডা সংরক্ষণে বিশ্বের প্রথম তিন চিড়িয়াখানার তালিকায় ঠাঁই করে নিল দার্জিলিং হিমালয়ান পদ্মজা নাইডু জ়ু। আগামী বছর নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জু’স অ্যান্ড অ্যাকোরিয়ামসের (ওয়াজ়া)। ওই সম্মেলনে বিশ্বের তিনটি সংস্থাকে রেড পান্ডার কৃত্রিম প্রজনন এবং প্রকৃতির মধ্যে সফল ভাবে ছাড়ার জন্য স্বীকৃতি জানানো হবে। সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা।
কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য বন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে গত কয়েক দশকে একাধিক বার কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংখ্যা বাড়িয়ে রেড পান্ডাকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রথম দিকে মোটেও সাফল্য মেলেনি। বছরকয়েক আগে ফের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নতুন করে উদ্যোগী হয়। এ বার সান্দাক ফু লাগোয়া সিঙ্গালিলা বনাঞ্চলের ভিতরেই ঘেরাটোপের মধ্যে নয়টি রেড পান্ডাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।সেখানকার পরিবেশে রেড পান্ডাগুলি মানিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ায় প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই রেড পান্ডাগুলি জঙ্গলের পরিবেশে মানিয়ে তো নেয়ই, সেই সঙ্গে পাঁচটি শাবকের জন্মও দেয়। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই সাফল্যকেই স্বীকৃতি দিয়ে চেয়েছে ওয়াজা।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ বলেন, ‘সারা বছর দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় রেড পান্ডা নিয়ে নানা কাজ হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য অবশ্যই প্রকৃতিতে রেড পান্ডার সংখ্যা বৃদ্ধি। সেই কাজে সাফল্যের জন্যই আমাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’
তবে রেড পান্ডার কৃত্রিম প্রজননই দার্জিলিং চিড়িয়াখানার একমাত্র সাফল্য নয়। প্রতি বছর নিয়মিত ভাবে স্নো লেপার্ডের কৃত্রিম প্রজনন নিয়েও কাজ চলছে এখানে। গবেষণা চলে পাহাড়ি নেকড়ে নিয়েও। ঘুমের তোপকেদারায় স্রেফ কৃত্রিম প্রজনন এবং গবেষণার জন্য দার্জিলিং চিড়িয়াখানার পৃথক একটি কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে এখন রেড পান্ডার সংখ্যা ১৯।