‘সে আর নেই’, পঞ্চমী থেকে ধর্নায় আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবা
এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
পঞ্চমীর দিন থেকে বাড়ির সামনেই ধর্না শুরু করলেন আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। এ দিন কয়েকজন চিকিৎসক ধর্না মঞ্চে অংশগ্রহণ করেন। দেখা করলেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও।আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম মেয়েকে ছাড়াই পুজো কাটাচ্ছে নির্যাতিতার পরিবার। বিচারের দাবিতে পুজোর ক’দিন বাড়ির সামনেই অস্থায়ী মঞ্চ করে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা কাটাবেন সময়। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত এই অবস্থান মঞ্চেই দেখা মিলবে তাঁদের। নির্যাতিতার পরিবারের বাবা-মা, কাকা, কাকিমা-সহ অন্যান্য পাড়া প্রতিবেশীদের মঞ্চে দেখা যায়।
গত ২০২২ ও ২০২৩- গত দুই বছর ধরে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়েছিল নির্যাতিতার বাড়িতে। নির্যাতিতার মা জানান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এমডিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই মেয়ে চেয়েছিলেন বড় করে বাড়িতেই পুজো করতে। প্রথমে বাবা-মায়ের তাতে সায় না থাকলেও মেয়ের আবদারের কাছে হার মানেন তাঁরা। ফলে গত দু'বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে। তিলোত্তমার পরিবারের আমন্ত্রণে পাড়া প্রতিবেশীরাও হাজির থাকেন পুজোর ওই চারটে দিন। এই পুজোর যিনি মূল উদ্যোক্তা, সেই তিলোত্তমাই আজ আর নেই। পুজো শুরুর আগেই দুর্গার বিসর্জন। মন ভারাক্রান্ত নির্যাতিতার মা-বাবার।
ধর্না মঞ্চে কয়েকজন চিকিৎসকও অংশ নিয়েছেন। তবে, পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরা এই মঞ্চে যোগ দেবেন না। তবে এ দিনই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে অবস্থান মঞ্চে দেখা করতে আসলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ও বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তব বাগচী-সহ বিজেপির বিশেষ প্রতিনিধি দল। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে করা অবস্থান মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়েই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
এরপরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সজল ঘোষ জানান, আমরা কেউ জানি না আগামীকালটা আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। সজল বলেন, ‘এই লড়াই একা নির্ভয়া অভয়া লড়াই নয়। গত সাত দিনের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটেই চলেছে এই একই ধরনের ঘটনা। জয়নগর, কুলটি-সহ একাধিক জায়গায় সেই ছবি উঠে এসেছে।’