• নিজের বাড়িতেই খুন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী, ব্যারাকপুরে তদন্তে পুলিশ, কারণ কী?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ মহাপঞ্চমী। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে কলকাতা থেকে জেলা। আর তার মধ্যেই বড় খবর হয়ে গেল। নিজের বাড়িতেই খুন হয়ে গেলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। আজ, মঙ্গলবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে এলে আলোড়ন পড়ে যায়। কেন খুন করা হল প্রাক্তন সেনাকর্মীকে?‌ উঠছে প্রশ্ন। দুর্গাপুজোর সময় এমন ঘটনা জেলায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। খুনের উদ্দেশ্য খুঁজছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

    এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, মোহনপুর থানা এলাকার ব্যারাকপুর চক কাঠালিয়ায় নিজের বাড়িতে খুন হয়েছেন এই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। মৃত সেনাবাহিনী কর্মীর নাম দীপেন্দ্রনাথ মন্ডল । অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী হয়েও একাই থাকতেন দীপেন্দ্রনাথ বাবু। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন জানতে পেরেই পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। ব্যারাকপুরের এই এলাকাটি বেশ পশ। সেখানে এমন ঘটনা কেমন করে ঘটল?‌ রাতের অন্ধকারে নাকি ভোরে কখন খুন করা হয়েছে?‌ এখন এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু এখনও কোনও কিনারা মেলেনি।


    অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর দুই মেয়ে আছেন। তাঁর এই ছোট মেয়ে বিদেশে থাকেন। আর বড় মেয়ে বাড়ির কাছেই বড়পোল এলাকায় থাকেন। আজ সকালে এই প্রাক্তন সেনাবাহিনী কর্মীর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই তখন পুলিশে ফোন করে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে যাবতীয় তদন্ত শুরু করে। আর ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সেখানের রিপোর্ট সামনে এলে তবেই বোঝা যাবে খুনের যাবতীয় তথ্য। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    এছাড়া এই খবর পুলিশের কাছ থেকে পেয়ে বাড়িতে আসেন তাঁর বড় মেয়ে। তিনি এসে দেখেন ঘরের মেঝেতে তাঁরা বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছেন। তাঁর মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারপর ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ডিসি নর্থ গণেশ মণ্ডল এবং এসিপি ব্যারাকপুর বাদুরুজ্জামান। ডিসি নর্থ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌মৃত ব্যক্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিলেন। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’‌ এই ঘটনার পিছনে পরিচিত কেউ থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। কারণ প্রাথমিক ভাবে তেমন প্রমাণই মিলছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)