• দশমী পর্যন্ত ধর্নায় নির্যাতিতার মা-বাবা, প্রতীকী মূর্তি নিয়ে বেরোবেন জুনিয়ররা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • গত বছরেও পুজোটা এমন ছিল না। কিন্তু এবছর যেন সব কিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। অন্যান্যদিনের মতো ডিউটিতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। কিন্তু আর ফিরে আসা হয়নি। সেই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল আরজি করের সেমিনার রুমে একেবারে ভয়াবহ কাণ্ড। 

    ওই চিকিৎসকের উদ্যোগেই প্রতিবার বাড়িতে দুর্গাপুজো হত। কিন্তু এবার আনন্দ উৎসব থেকে অনেক দূরে পরিবার। এবার বাড়ির কাছে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। সেখানেই বসবেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা, বাবা সহ পরিবারের অন্যরা। প্রতিবার এই সময়টা বাড়ি একেবারে গমগম করত। কিন্তু এবার আর সেই ছবিটা নেই। এদিকে এবার সিনিয়ররা আজ রাত থেকে কর্মবিরতিতে যেতে পারেন বলে খবর। 

    একেবারে সাদামাটা একটা মঞ্চ। সেখানে লেখা স্মৃতিভারে মোরা পড়ে আছি, ভারমুক্ত, সে এখানে নেই- শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ। 

    এবারের পুজো গোটা বাংলা জুড়েই অন্যরকম। 

    মঙ্গলবার সন্ধ্যাতে সেই ধর্নামঞ্চে এসেছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ও কৌস্তভ বাগচি। তবে ওই চিকিৎসকের বাবা মা জানিয়েছেন, চাইলে যে কেউ এই ধর্নামঞ্চে আসতে পারেন। তবে কেবলমাত্র আত্মীয়রাই মঞ্চে থাকবেন। 

    নির্যাতিতার বাবা মা জানিয়েছেন, মেয়ের উদ্যোগেই বাড়িতে দুর্গাপুজো হত। আর হয়তো কোনওদিন বাড়িতে দুর্গাপুজো হবে না। কিন্তু এই উৎসবের কয়েকটা দিন বাড়িতে থাকতে দমবন্ধ লাগছে। বার বার মেয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেকারণে বাড়িতে থাকতে ভালো লাগছে না। মেয়ের ন্যায় বিচারের জন্য বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসে পড়লেন নির্যাতিতার বাবা মা। 

    নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, এটা কোনও কর্মসূচি নয়। আসলে মনের অনেক ব্যাথা নিয়ে এখানে এসেছি। অন্যান্য দিন এই দিনে বাড়িতে ঠাকুর আসত। মেয়ের উদ্যোগে পুজো হত। আর কোনওদিন বাড়িতে পুজো হবে না। বিচারের পথ চেয়ে বসে রয়েছে বাবা মা। 

    এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ষষ্ঠীর দিন তাঁরা মিছিল করবেন। ম্যাটাডোরে করে অভয়ার প্রতীকী মূর্তি নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তারা যাবেন। প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবেই তাঁরা এই কাজ করবেন। 

    এদিকে মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গণইস্তফা দিলেন প্রায় ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। এখানেই বিষয়টি থেমে থাকেনি। গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেডিক্য়াল কলেজ এবং এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তাররাও। গণইস্তফা নিয়ে নবান্নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‌গণইস্তফা দিলে পদত্যাগ করা হয় না। পৃথক পৃথকভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় ইস্তফা দিতে হয়। সেই ইস্তফা যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্য সরকার গ্রহণ করছে ততক্ষণ তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)