• পুজোর কলকাতায় মিছিল চিকিৎসকদের, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে উঠল স্লোগান,উই ওয়ান্ট জাস্টিস
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • পুজোর কলকাতা। রাস্তায় ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। তার মধ্য়েই মিছিল বের করলেন চিকিৎসকরা। বিরাট মিছিল। প্রতিবাদের মিছিল। সেই মিছিলে কিছুটা হলেও অবরুদ্ধ হল রাস্তা। তবুও সাধারণ মানুষ এই মিছিলের পাশে থাকলেন। অনেকেই পা মেলালেন এই মিছিলে। একটা সময় পুলিশ এই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এগোতে শুরু করে চিকিৎসকদের এই মিছিল। এমনকী হুইল চেয়ারে এক বৃদ্ধাও এই মিছিলে সামিল হন। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে সাধারণ মানুষও স্লোগান তোলেন উই ওয়ান্ট জাস্টিস। 

    এদিকে পথচলতি বহু মানুষ এই মিছিলকে স্বাগত জানান। তাঁরাও এদিন মিছিলে পথ হেঁটেছেন। চিকিৎসকরা বলেন, আমরা কারোর অসুবিধা করতে চাই না। রাস্তায় যানজট করতে চাই না। আমরা পুলিশকে বলেছি কোথাও কোনও জায়গায় ট্রাফিক আটকাবে না। এরপর পুলিশ আমাদের রাস্তা ছেড়ে দেয়। 

    এর আগে মহালয়াতে মিছিল করেছিলেন চিকিৎসকরা। ফের পঞ্চমীতে মিছিল করলেন তাঁরা। একেবারে প্রথমে যে ব্যানার ছিল তাতে লেখা, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন, পাশে আছে জনগণ।প্রচুর সাধারণ মানুষ এদিন মিছিলে ছিলেন। পুজোর কলকাতায় একদিকে যাচ্ছেন ঠাকুর দেখতে বের হওয়া মানুষরা। তাঁদের সমস্যা না করেও এই মিছিল ধর্মতলা পর্যন্ত যায়। সব মিলিয়ে এবার একেবারেই অন্যরকম উৎসব দেখছে কলকাতা। 

    মণ্ডপে ভিড় একেবারে নেই তেমনটা নয়। কিন্তু এই মিছিলেও হাজার হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছেন। প্রত্যেকের গলায় প্রতিবাদের সুর। 

    এসবের মধ্য়েই আরজি করের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক গণ ইস্তফা দিয়েছেন। আর তারপরই এদিন নবান্নের তরফে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এই গণ ইস্তফাকে কটাক্ষ করছেন। কুণাল ঘোষ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন গণ ইস্তফা দেওয়া চিকিৎসকদের। 

    কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'CBI চার্জশিট দেওয়ার পরেও অরাজকতা। পুজো, বন্যার পরিস্থিতিতে বিনা নোটিসে চিকিৎসকদের গণইস্তফা। রোগীদের বিপদে ফেলে রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেলিং।

    * গণইস্তফা আইনি নয়, নাটক না করে নিয়মমত নিজস্ব চিঠিতে ইস্তফা দিন। ডিউটি না করলে চাকরি ছাড়ুন।

    * সরকার সব ইস্তফা গ্রহণ করুন।

    * নতুন নিয়োগে সরকার বিজ্ঞাপন দিক, বহু যোগ্য ডাক্তার অপেক্ষা করছেন।

    * পরিষেবার ক্ষতি হলে মানুষ বুঝবেন কাদের জন্য এই অবস্থা।

    * কাজ বন্ধের দিনগুলো বেতন কাটা হোক। হস্টেল খালি করা হোক।

    * আরও কিছু পদক্ষেপ জরুরী।

    সরকার সংবেদনশীল, সংযত। তার সুযোগ নিয়ে গোলমালের নাটক চলছে। সরকার কী পদক্ষেপ নেবে, তাদের বিষয়। কিন্তু আর এই থ্রেট কালচার, ব্ল্যাকমেলিং বরদাস্ত করা ঠিক হবে না।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)