সংবাদদাতা, কাটোয়া: গুসকরা শহরে দুর্গাপুজোতে থিমের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন ক্লাবগুলি একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে থিমের মণ্ডপ গড়েছে। রঙিন আলোত সাজিয়ে শহরের বাসিন্দাদের আনন্দ দিতে প্রস্তুত পুজো উদ্যোক্তারা। শহরজুড়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট নতুন নতুন পদ তৈরি করে বাসিন্দাদের পুজোর আনন্দ দিতে চান। শহরের বারোয়ারিতলায় গুসকরা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি এবারে দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে।
বাঙালির দুর্গাপুজোয় ভিন রাজ্য থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান আউশগ্রামে। ডোকরা শিল্প দেখে জঙ্গলের শাল, মহুলের গন্ধে পুজোর ছুটি কাটাতে তাঁরা আসেন। আর গুসকরা শহরে পুজো মণ্ডপগুলিতেও পর্যটকরা এসে ভিড় জমান। ঝলমল করে ওঠে পুজোর চারদিন। একে একে তৈরি করা হচ্ছে বারোয়ারি থিমের পুজো মণ্ডপগুলি।
থিমের শিল্পকর্মের পাশাপাশি আলোর রোশনাই দিয়ে পাল্লা দিয়ে মণ্ডপগুলি সেজে উঠতে চলেছে। গুসকরা শহরের পুরনো বনেদি বাড়ির পুজোর জৌলুসের সঙ্গে বারোয়ারি পুজোতে থিম শিল্পীদের শিল্পকর্ম ফুটে উঠেছে। কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজোয় বাড়ছে থিমের জৌলুস।
বারোয়ারিতলায় গুসকরা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি ৭০ বছরে পা দিল। দক্ষিণ ভারতে নানা মন্দির রয়েছে। সারা বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা পর্যটক গিয়ে সেখানে দর্শন করে আসেন। এবারে সেখানকারই এক মন্দিরকে তুলে ধরেছে বারোয়ারি তলায়। বাঁশ, কাপড় দিয়ে মন্দিরের সমস্ত নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গুসকরা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সহ সম্পাদক স্নেহাশিস বৈরাগ্য বলেন, এবারে আমাদের পুজোর বাজেট প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। আমরা এবার দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছি। পুজোর চারদিন ধরে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।