• জেলার ন’টি বন্ধ চা বাগানেই দুর্গাপুজো হচ্ছে সরকারি টাকায়
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • রবীন রায়, আলিপুরদুয়ার: রাজ্য সরকারের অনুদানে আলিপুরদুয়ার জেলার বন্ধ চা বাগানগুলিতে দুর্গাপুজো হচ্ছে। জেলায় এমন ৯টি বাগান আছে। দীর্ঘদিন থেকে সেগুলি বন্ধ। ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে সারা বছর কাটে শ্রমিকদের। কিন্তু, পুজো নিয়ে তাদের সেই দুশ্চিন্তা নেই। কারণ ‘দিদির অনুদান’। তা দিয়ে পুজোর আয়োজন করছেন চা শ্রমিকরা। এবার মায়ের কাছে তাদের প্রার্থনা, বন্ধ বাগান ফের সচল হোক।  


    জেলার এই নয়টি বন্ধ চা বাগানের মধ্যে একটি মাদারিহাটের ঢেকলাপাড়া। এই ঢেকলাপাড়া চা বাগানের দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য রবি কুমার বলেন, বাগান বন্ধ থাকায় আমরা কষ্টে আছি। এখন খাবার জোটানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার অনুদান না দিলে আমাদের পক্ষে বাগানে পুজো করা সম্ভব ছিল না। আমরা চাই, রাজ্য সরকার দ্রুত বাগান খোলার ব্যবস্থা করুক।


    কালচিনি ব্লকের কালচিনি চা বাগানও দীর্ঘদিন বন্ধ। বাগানের দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য ওম লোহার বলেন, দুর্গাপুজোর আয়োজন একটা বিরাট ব্যপার। বহু টাকা খরচ। চা শ্রমিকদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আমরাও বাগানে পুজো করতে পারছি। রাজ্য সরকারের ৮৫ হাজার টাকার অনুদান আমাদের পুজো করতে সাহায্য করেছে। বন্ধ দলসিংপাড়া চা বাগানেও রাজ্য সরকারের পুজো অনুদানের টাকায় পুজো হচ্ছে। দলসিংপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তণ উপপ্রধান শম্ভু জয়সোয়াল বলে, বাম জমানায় এটা সম্ভব ছিল না। বিগত বাম সরকারের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের এটাই পার্থক্য।


    কালচিনির তোর্সা চা বাগানের শ্রমিকরা পুজোর অনুদান পেয়েছে। তোর্সা বাগানের পুজো কমিটির সদস্য ললিত কৈরালা বলেন, বাগান বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা অসহায়। তাদের পক্ষে পুজোর চাঁদা দেওয়া সম্ভব ছিল না। রাজ্য অনুদান দেওয়ায় এই চারটে দিন অন্তত আনন্দে কাটবে আমাদের। 


    চা শ্রমিক সংগঠনগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রত্যেকটি বন্ধ বাগান দুর্গাপুজোর জন্য অনুদান পেয়েছে। তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বরা ওরাওঁ বলেন, বাগান বন্ধ থাকলেও  তো মায়ের পুজো বন্ধ থাকতে পারে না। সেজন্য আমাদের সরকার পুজো করার টাকা দিয়েছে। রাজ্য সরকার বন্ধ বাগানগুলি খুলতেও তৎপর। আশা করছি, পুজোর পরে কয়েকটি বাগান খুলবে।
  • Link to this news (বর্তমান)