• মোমো-চাউমিন থেকে বিরিয়ানি, ঠাকুর দেখার ফাঁকেই জমিয়ে চলছে পেটপুজো
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি: এ যেন বিবিধ থিম। পুজোর মাঝে ‘খাদ্য মেলা’! চা, ঘুগনি থেকে চাউমিন, এগরোল, কাটলেট থেকে মোমো, চিকেন ড্রামস্টিক, শিক কাবাব সবই মিলছে। শিলিগুড়ি শহরের দেশবন্ধুপাড়া, এনজেপি, শক্তিগড়, চম্পাসারি সহ বিভিন্ন প্রান্তের পুজো মণ্ডপ চত্বরে বসেছে মেলা। শুধু তাই নয়, রেস্টুরেন্ট, হোটেলের মেনুতেও আছে লোভনীয় পদ। রুটি, আলু-পরোটা, মোগলাই, ফ্রায়েড রাইস, বিরিয়ানিও পাওয়া যাচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিমের স্টল। সবমিলিয়ে জমজমাট শিলিগুড়ির পুজো। 


    এমনিতেই পুজোয় থিমের ছড়াছড়ি। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সর্বত্র থিমের ছোঁয়া। যারমধ্যে দেশবন্ধুপাড়ার দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো অন্যতম। এদের থিম ‘পাথরে প্রাণ’। ক্লাবের মাঠে এবারই প্রথম বসেছে মেলা। আছে ফাস্ট ফুডের বেশকিছু স্টল। ঘুগনি, চাউমিন, এগরোল,মোমো সবই মিলছে। পাশেই তরাই স্কুল ময়দানে সুব্রত সঙ্ঘের পুজো। এদের থিম ‘দৃষ্টিকোণ’। মণ্ডপ থেকে বের হয়েই মেলায় ঢুকতে হচ্ছে। এখানেও রয়েছে ফাস্ট ফুডের বহু স্টল। 


    শক্তিগড়েও মিলবে একই দৃশ্য। উজ্জ্বল সঙ্ঘ প্রাচীন জমিদার বাড়ির আদলে মণ্ডপ সাজিয়েছে। শক্তিগড় স্কুল মাঠে নাগরদোলা, শিশুদের খেলনা, খাবারের স্টল সাজানো হয়েছে। শহরের আরএকটি বিগ বাজেটের পুজো কমিটি সেন্ট্রাল কলোনি। এদের থিম ‘যজ্ঞপুরী’। এই মণ্ডপের পাশেও বসা মেলা জমজমাট। চাউমিন, এগরোল থেকে বিরিয়ানি, ঠান্ডা পানীয় সবই মিলছে মেলা মাঠে। চেয়ার, টেবিল পেতে বড় বড় দোকান করা হয়েছে। 


    শহরের আরএকপ্রান্ত চম্পাসারি, মাল্লাগুড়ি, গণেশ ঘোষ কলোনিতেও পুজো উপলক্ষ্যে বসেছে মেলা। চম্পাসারি ও উত্তর মাল্লাগুড়ির বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলির মধ্যে জাতীয় শক্তি সঙ্ঘ ও পাঠাগার অন্যতম। এদের থিম চীনের বৌদ্ধ গুম্ফা। এবারও পুজো মণ্ডপ সংলগ্ন শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের মাঠে বসেছে মেলা, খাবারের দোকান। ঘুগনি, চাউমিন, এগরোল, মোগলাই, চিকেনের শিক কাবাব প্রভৃতি মিলছে। গণেশ ঘোষ কলোনির পুজো মণ্ডপের পশেও জমজমাট মেলার আসর। শিশুদের জন্য মেলা বসেছে ওয়াইএমএ মাঠে। 


    মঙ্গলবার পঞ্চমীতে পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি মেলাগুলিতে ছিল ভিড়। কয়েকজন বলেন, পুজো মণ্ডপ দেখার পর মেলার মাঠে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি। সঙ্গে ছিল চাউমিন-এগরোল। পুজো উদ্যোক্তারা বলেন, পুজো মানে মিলন উৎসব। মেলা ছাড়া উৎসব ভাবাই যায় না। তাই মণ্ডপের পাশে মেলা বসানো হয়েছে। এতে কিছু লোকের যেমন ব্যবসা হচ্ছে, তেমন দর্শনার্থীদেরও সুবিধা হচ্ছে। 


    একইসঙ্গে শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ক্যাফেতে ভূরি ভোজের জোরদার ব্যবস্থা রয়েছে। সাদা ভাতা থেকে রুটি, চিকেন কষা, ফ্রায়েড রাইস থেকে বিরিয়ানি, পোলাও, আলু-পরোটা, চিকেনের বিভিন্ন পদ। বাজার ধরতে কেউ কেউ ‘কম্ব’ চালু করেছে। এছাড়া, তাঁবু খাটিয়ে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ চত্বরে বসেছে আইসক্রিম ও ঠান্ডা পানীয়র স্টল।
  • Link to this news (বর্তমান)