• লালবাজারের তদন্তে মান্যতা দিল্লির পাঁচ হাসপাতালের  বিশেষজ্ঞদের
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মাত্র ৯৬ ঘণ্টা তদন্ত করার সুযোগ পেয়েছিল কলকাতা পুলিস। তারপর হাইকোর্টের  নির্দেশে আর জি করে ধর্ষণ ও খুনের  তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।  তার আগেই অবশ্য মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিস। তবুও সোশ্যাল মিডিয়ার একদল ‘ফেবু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ’ আর একদল সিনিয়র ‘ডাক্তার ব্যবসায়ী’র সমালোচনায় গত ৫৫ দিনে বারেবারে সমলোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে দেড়শ বছরের প্রাচীন কলকাতা পুলিসকে।


    প্রথম দিন থেকেই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা যেন তদন্তের থেকে বেশি, কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের ভুল ধরতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। এমনকী দেশের শীর্ষ আদালতে সওয়াল পর্বে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের অধীনস্থ সংস্থা কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেন্সিকের তৈরি করা  রিপোর্টকেও ‘রাজ্যের রিপোর্ট’ বলে বিশ্বাস করতে চাননি অনেকে! 


    কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস! কলকাতার পর চন্ডীগড়, দিল্লির মতো দেশের দুই সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের বিষেশজ্ঞরা একে একে রিপোর্ট পেশ করে কলকাতা পুলিসের তদন্তকেই  মান্যতা দিয়েছেন। অন্তত চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই।  অথচ, এই মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বারেবারে  অভিযোগ করা হয়েছিল, কলকাতা পুলিস সঠিক পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়নি। কারচুপিও হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্টে!  কারচুপি সহ রাতের বেলা ময়না তদন্ত নিয়ে  হাজার বিতর্কের মধ্যে কল্যাণী, দিল্লির এইএমস’এর বিশেষজ্ঞরা কলকাতা পুলিসের রিপোর্টে কোনও ত্রুটি বের করতে পারেননি। অন্তত সিবিআইয়ের চার্জশিটে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। এমনকী দিল্লির এইএমস, রামমনোহর লোহিয়া, লেডি হার্ডিঞ্জ, সফদরজঙ হাসপাতাল এবং  মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত বোর্ড তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত, এনকোয়েস্ট রিপোর্ট এবং ভিডিওগ্রাফি খতিয়ে দেখে খুঁত পায়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)