দুর্গাপুজোর আগে শেষ মঙ্গলবার জমজমাট মঙ্গলাহাট, ভাইফোঁটায় ভালো ব্যবসার আশা
বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: পুজোর আগে মঙ্গলাহাটের শেষ বেচাকেনা হয়ে গেল মঙ্গলবার। স্থানীয় ক্রেতা ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভিড়ে এদিন হাসি ফুটেছে হাটের ব্যবসায়ীদের মুখে। তাঁরা মনে করছেন, দুর্গাপুজো কেন্দ্রিক বাজার এবারের মতো শেষ। আপাতত তাঁরা তাকিয়ে আছেন ভাইফোঁটার বাজারের দিকে। উত্তরবঙ্গের দিকে এবার ভাল ব্যবসা হচ্ছে। ফলে লোকসান অনেকটাই মিটে যাবে বলে আশাবাদী মঙ্গলাহাটের হাজার হাজার ব্যবসায়ী।
পুজোর আগের শেষ সোমবারে বাজার সেভাবে জমেনি। তবে মঙ্গলবার, পঞ্চমীর সকাল থেকে হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ভিড় জমিয়েছিলেন মঙ্গলাহাটে। এদিন ফুটপাতের স্টলগুলিতেও বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। বৈদ্যবাটি থেকে আসা এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘এবছর বাচ্চাদের পোশাকের চাহিদা বেশি। ষষ্ঠী, সপ্তমীতেও দোকানে কাস্টমারের ভিড় থাকবে।’ মঙ্গলাহাটের ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘এ বছর ভিন রাজ্যের বাজার মার খেলেও মালদহ, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে প্রচুর জামাকাপড় গিয়েছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা ফের বরাত দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে লক্ষ্মীপুজোর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ভাইফোঁটার বাজার এবার চাঙ্গা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির (সেন্ট্রাল) সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা সাধারণত পুজোর আগে দোকানের জন্য যে জামাকাপড় নিয়ে যান, তার টাকা মেটান একাদশীর পর। এবার ওই সব এলাকার ব্যবসায়ীরা অনেক মালপত্র নিয়ে গিয়েছেন। তাই ভাইফোঁটার বাজারের জন্যও আমাদের আশা বেড়েছে। তবে ভিন রাজ্যের বাজার ধরার জন্য এখন শীতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ এর পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় লক্ষ্মীপুজোর পর হুগলি, দুই মেদিনীপুর, নদীয়া মুর্শিদাবাদের ক্রেতারা মঙ্গলাহাটে আসবেন বলে আশা করছেন তাঁরা। -নিজস্ব চিত্র।