পঞ্চমীতেই হাবড়া, অশোকনগরে উপচে পড়ল ভিড়, কোথাও রাজস্থানের শিসমহল, কোথাও তৈরি কেদারনাথ মন্দির
বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: পঞ্চমীর রাতেই জনজোয়ারে ভাসল হাবড়া ও অশোকনগরের বিভিন্ন দুর্গামণ্ডপ। দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে বিভিন্ন মণ্ডপের হরেকরকমের থিম। যেমন অশোকনগরের সুহৃদ সংঘ। ৭৫ তম বর্ষে তাদের এবার ভাবনা কোমল গান্ধার। মূর্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষত্ব। উমা এখানে মায়বী। মণ্ডপের বাইরে ও ভিতরে রয়েছে বিস্তর ফারাক। মণ্ডপ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে কাঁচের বাড়ি। আর ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে ছোট্ট উপত্যকা। মণ্ডপের বাইরের অংশ তৈরি হয়েছে রাজস্থানের শিসমহলের আদলে। আর ভিতরে প্রবেশ করলে দর্শনার্থীরা হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট একটি শহরের সংস্কৃতিকে পরখ করতে পারবেন। এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। প্যান্ডেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ, প্লাই, থার্মোকল।
পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে এলাকার অসহায় প্রায় ১০০ জন শিশুকে শপিং মলে নিয়ে গিয়ে শপিং করিয়েছি। আর মূর্তি ও প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে আমাদের অভিনবত্ব রয়েছে। পঞ্চমী থেকেই উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা আমাদের।
প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে অভিনবত্ব আনে হাবড়ার হিজলপুকুর মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। এবার তাদের থিম প্রতিচ্ছবি। হাবড়ার শিল্পী গোটা মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছেন কাচ ও কাচের সামগ্রী দিয়ে। পুজোর বাজেট ২০ লক্ষ টাকা। দিনে নয়, রাতে আলোতে ঝলমল করবে গোটা এলাকা। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই তৈরি হয়েছে মূর্তি। পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা রঞ্জু দাস বলেন, মণ্ডপের কাচে নিজেদের প্রতিচ্ছবি দর্শকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হবে বলে আমরা মনে করছি।
অন্যদিকে হাবড়ার উত্তর হাবড়া সেবা সঙ্ঘের ভাবনা কেদারনাথ মন্দির। মণ্ডপ তৈরি হয়েছে প্লাইউড, থার্মোকল দিয়ে। সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকছে আলো ও সাউন্ড সিস্টেম। উদ্যোক্তা জয় সিং বলেন, মোটা টাকা খরচ করে আর মানুষকে কেদারনাথে যেতে হবে না। এক টুকরো কেদারনাথের স্বাদ নিতে পারবেন তারা এখান থেকেই। হাবড়ার প্রফুল্লচন্দ্র উপনিবেশের এবার থিম রাজস্থানের হাওয়ামহল। গোটা প্যান্ডেলটি তৈরি হয়েছে ফাইবার ব্যবহার করে। মণ্ডপের চারিদিকে ছোট ছোট কক্ষ রয়েছে। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য সৈকত চক্রবর্তী বলেন, জয়পুরের হাওয়ামহলের আদলে আমাদের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মানুষ এখানে এলে নিশ্চিতভাবে মোহিত হবেন। টাকা খরচ করে ভিন রাজ্যে আর হাওয়ামহল দেখতে যেতে হবে না মানুষকে।