নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পঞ্চমীর সকাল থেকেই শহরজুড়ে মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল। তবে, মধ্য কলকাতার তাল কাটল বিকেলে। পুজোর সময় উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা সংযোগকারী মূল রাস্তা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। সেই রাস্তা আটকেই মণ্ডপমুখী লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে ‘অবিচার’ করে অভয়ার ‘বিচারের’ দাবি জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে অনশন মঞ্চ পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। তার জেরে শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হল আম জনতাকে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ যান চলাচলের জন্য ছেড়ে মিছিল শুরু করেন চিকিৎসকরা। যদিও বউবাজার ক্রসিংয়ে পৌঁছনোর পরই রাস্তা কার্যত আটকে চলল ডুগডুগি বাজিয়ে দেদার নাচ। ‘ঠিক ভাসান-নাচ। এবার নোংরামোই হচ্ছে।’— দু’ঘণ্টা তীব্র যানজটে ফেঁসে ট্যাক্সি থেকে বলেই ফেললেন শ্যামপুকুরের বাসিন্দা সুচেতা দাসশর্মা। পঞ্চমীর বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। শেষমুহূর্তে বদলে যায় রুট। বিকেল পাঁচটা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিলটি বের হয় ধর্মতলার উদ্দেশে। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে মিছিলের তিন অংশের দায়িত্বে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের আলাদা বার্তা। প্রথমদিকে, যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের (ধর্মতলাগামী ফ্ল্যাঙ্ক) প্রায় অর্ধেক অংশ যান চলাচলের জন্য ফাঁকা রাখতে হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগের দায়িত্বে থাকা নেতৃত্ব বারবার ‘সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ অবরুদ্ধ করে দিন’, এই বার্তাই দিয়ে যান। স্বাভাবিকভাবেই মিছিলের মাথা যখন লেনিন সরণির সামনে দাঁড়িয়ে তখন এর জেরে যানজট ছাড়িয়ে যায় শোভাবাজার মোড়। এম জি রোড, কলুটোলা স্ট্রিট, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউতে অন্তত ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে গিয়ে পুজোর প্ল্যানে কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই।