• চণ্ডীতলা থেকে চুঁচুড়া: পুজোর বাজার সেরে মণ্ডপে উঁকি, রেকর্ড ভিড়ের পূর্বাভাস পঞ্চমীতেই
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই পুজোর ভিড় বাঁধ ভাঙার ইঙ্গিত দিয়ে গেল। চণ্ডীতলা থেকে শ্রীরামপুর, ডানকুনি থেকে বলাগড়, কাতারে কাতারে মানুষ নামলেন রাজপথে। অনেক মণ্ডপ ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে। কিছু মণ্ডপে মঙ্গলবারও সাজসজ্জার কাজ চলেছে। কিন্তু তাতে ভিড়ে রাশ টানা যায়নি। কোথাও ভিড় এড়াতে আগেভাগেই মণ্ডপ হপিংয়ের চেষ্টা, আবার কোথাও বাড়তি বিনোদনের খোঁজে পথে নেমেছে মানুষ। স্বভাবতই ভিড়ের দখলে চলে গিয়েছে রাজপথ। শ্রীরামপুর ও চুঁচুড়ার মতো জনপদে দেখা গিয়েছে আরও একটি দৃশ্য। শহর থেকে গ্রামের মানুষ পঞ্চমীতেও চুটিয়ে পুজোর বাজার করেছেন। সেই ফাঁকে উঁকি দিয়ে গিয়েছেন মণ্ডপে।

    পঞ্চমীর ভিড় হাসি ফুটিয়েছে উদ্যোক্তাদের মুখে। আবার পথের ধারে পসরা সাজিয়ে বসা ফাস্টফুডের ব্যবসায়ীদের মুখে চওড়া হাসি দেখা গিয়েছে। পুজোর শুরুতে এই ভিড় বাড়তি রোজগারের আশা জোগাচ্ছে ওই দোকানিদের। শ্রীরামপুরের পাঁচ ও ছয়ের পল্লি ব্যবসায়ী সমিতির পুজোয় এদিন ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। সুবেশ তরুণ-তরুণীর ভিড়ে মুখরিত ছিল মণ্ডপ প্রাঙ্গণ। পুজোর উদ্যোক্তা তথা শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য সন্তোষ সিং (পাপ্পু) বলেন, পঞ্চমীতে মানুষের ভিড় দেখে মন ভরে গিয়েছে। আশা করছি, পুজোর বাকি চারদিন রেকর্ড ভাঙা ভিড় হবে। হুগলির বলাগড়ে এবার একাধিক বিগ বাজেটের পুজো হচ্ছে। সেখানে কাতারের মুন টাওয়ার দেখার জন্য গ্রাম-শহরের মানুষ কাতারে কাতারে ভিড় করেন। পুজোর আয়োজক অসিত সিংহ বলেন, বলাগড়ের মানুষ তো বটেই চুঁচুড়া, পোলবা-দাদপুর থেকেও দর্শনার্থীরা এসেছিলেন। পঞ্চমীর ভিড়ে আমরা পুজোর চারদিন বাঁধভাঙা ভিড়ের আশা করছি। চুঁচুড়ার বাবুগঞ্জ সর্বজনীনের পুজোয় এবার দেশভক্তিকে থিম করা হয়েছে। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় সেখানে উপচে পড়া ভিড় ছিল। পুজোর আয়োজক জয়দেব অধিকারী বলেন, পুজোর কেনাকাটার ফাঁকেই অনেকে মণ্ডপ ঘুরে গিয়েছেন। তাতেই উৎসবের আবহ স্পষ্ট হয়েছে।

    মঙ্গলবার দিনভর হুগলিতে মেঘ-রোদ লুকোচুরি খেলেছে। দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে একপশলা। ফলে বিকেল গড়ানোর আগেই অস্ত গিয়েছিল সূর্য। তবে বৃষ্টি কমতেই রাস্তায় ভিড় বাড়তে থাকে। কালো মাথার ভিড়ে শ্রীরামপুর থেকে চুঁচুড়ার একাধিক এলাকায় যানজট দেখা দেয়। অন্ধকার ঘন হতেই বর্ণময় আলোকসজ্জা আর ছন্দময় ভিড়ে ভরে যায় রাজপথ। এদিন গ্রামের মানুষ যেমন শহরে এসেছেন, তেমনই শহুরে মানুষও গ্রামের বিগ বাজেটের পুজোর স্বাদ নিতে ছুটেছেন। সন্ধ্যায় যে জনকোলাহল পথে নেমেছিল, রাত পর্যন্ত তার ধারা বহমান ছিল। বলা যায়, রাত যত বেড়েছে, কোলাহল, গর্জন হয়ে উঠেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)