'কালীঘাটের কাকু'র নাম চেনানো সেই তাপস মুক্ত জামিনে
এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার জামিন পেয়ে গেলেন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল এবং কৌশিক মাঝি। ওই মামলায় সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে মানিক-তাপসের মধ্যে আঁতাঁত ছিল বলে আদালতে দাবি করেছিল সিবিআই। তাপসের মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’ প্রসঙ্গ। সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘কুন্তল ঘোষ জানেন কালীঘাটের কাকু কে? সেখানে টাকা পৌঁছে দিতেন।’এর পরেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম সামনে আসে। কুন্তল এবং সুজয় এখনও জেলবন্দি। অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা কৌশিক মাঝিকেও। এদিন তিনিও শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন।
সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। নতুন করে সেই গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পার্থর আইনজীবীরা। সিবিআই দাবি করে, জেলবন্দি অয়ন শীলের মাধ্যমে টাকা গিয়েছে পার্থর ঘনিষ্ঠদের কাছে। একই মামলায় পার্থ এবং অয়নের জামিন খারিজ হলেও, এদিন তাপস মণ্ডলকে জামিন দেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। জেলে ৫৯৫ দিন কাটানোর পরে জামিন পেলেন তিনি। তাপসের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘সিবিআই নতুন কোনও তথ্য আদালতে পেশ করতে পারছে না। তাই আমার মক্কেল জামিন পেয়েছে।’
তাপস এবং কৌশিকের জামিনের জন্য অবশ্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছেন বিচারক। সিবিআইয়ের তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। আদালতের শুনানিতেও নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। জামিনের পরেও কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারবেন না বলে অর্ডার কপিতে উল্লেখ রয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশও ছাড়তে পারবেন না তাঁরা। পাসপোর্ট থাকলে তা জমা করতে হবে আদালতে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা দাবি করেছিলেন, বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের শীর্ষপদে ছিলেন তাপস মণ্ডল। সেই সূত্রে মানিক ভট্টাচার্য এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরে কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীলদের মাধ্যমে অযোগ্যদের নিয়োগ করে টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন তাপস। কুন্তল গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তিনিও সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, তাপস মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করা হোক।