ঘটনায় জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে আরামবাগ পোষ্ট অফিস সংলগ্ন স্থানে মৃত দেবাশীষ আশের ভাগ্নে সায়নের সাথে অভিযুক্ত হেমন্ত পালের বচসা হয়। উভয়েই পরস্পর পরস্পরকে গালিগালাজ করতে থাকে। এক সময়ে সায়ন হেমন্তের কাছাকাছি থাকত। বর্তমানে এরা কেউ কারুরই কোন সম্পর্ক নেই। এদিন হেমন্ত মদ খেয়ে গালিগালাজ করছিল। আর তারই প্রতিবাদ করায় গালিগালাজ ও বচসা শুরু হয়। অভিযুক্ত হেমন্তের সাথে তার অনুগামী অচিন্ত্য প্রতিহার ও স্বর্ণদীপ প্রতিহার ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময়ে হেমন্ত সায়নকে মারধর করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে সায়নের মামা ছুটে আসেন ও প্রতিবাদ করেন। আর এর জেরেই হেমন্ত তার অনুগামীদের সহযোগিতায় দেবাশীষকে লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পেটাতে থাকে। তারপর অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হেমন্ত।
এরপরে দেবাশিষকে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা দেবাশীষকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে পরিস্থিতি জটিলাকার ধারণ করায় আরামবাগ থানার আই সি রাকেশ সিং হেমন্তকে গ্রেফতার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের হাত থেকে হেমন্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। পুলিসের হেফজতে থাকাকালীনই তাঁকে মারধর করা হয়। মৃত দেবাশীষের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৃণমূলে কারা আছেন, দেখুন। একটা লোককে প্রকাশ্যে খুন করে ফেলল। আমিও কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে তৃণমূলের পক্ষে কোনও প্রতিক্রয়া পাওয়া যায়নি।