বিশ্বজুড়ে সমাদৃত মুর্শিদাবাদের সিল্ক। আর এই জেলাতেই এ বার পুজোর মণ্ডপ করা হয়েছে রেশম গুটি দিয়ে। গোটা মণ্ডপ জুড়ে কাপড়ের উপর বসানো হয়েছে আসল রেশমের গুটি। মুর্শিদাবাদে রেশম শিল্পের প্রসার ঘটানো এবং চাষিদের এই শিল্পে আরও বেশি আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্য নিয়েই পুজোর থিম। এই মণ্ডপে দেবীদুর্গার প্রতিমায় মাটির অলঙ্কার। সঙ্গে আধুনিক আলোর ঝলকানি। এই মণ্ডপ রয়েছে বহরমপুর শহর সংলগ্ন কৃষ্ণমাটি পূর্ব মধ্যপাড়ার সর্বজনীন দুর্গাপুজোয়।গত কয়েক বছর ধরে সবার নজর কেড়েছে কৃষ্ণমাটি পূর্ব মধ্যপাড়া দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। গত ছ’বছর ধরে তারা থিমের পুজোর আয়োজন করছে। গত কয়েক বছরে তারা পেয়েছে একাধিক পুরষ্কার। প্রতিবারই মণ্ডপ বা প্রতিমায় নতুনত্বয় চমক দেওয়ার চেষ্টা করেন এই পুজোর উদ্যোক্তারা। ২৮তম বর্ষে তাঁরা মণ্ডপ সাজাচ্ছেন ৬০ হাজার রেশম গুটি দিয়ে। সেই সঙ্গেই মণ্ডপের সামনে বিশাল চাতালে তৈরি করা হয়েছে বিরাট আকারের রঙিন জলের ফোয়ারা। আসল রেশম গুটির সঙ্গে আলোর ঝলকানি এবারও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
এই পুজো কমিটির সভাপতি সুশীল সরকার জানান, মুর্শিদাবাদ জেলায় রেশম শিল্পের আরও প্রসার ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েই এই থিম। এর আগে, জলের উপর লক্ষ্মী-নারায়ণের থিম, হাজার হাতের দুর্গা, নবদুর্গার থিমও দর্শনার্থীদের মন কেড়েছিল। এবারও এই পুজোর সবার নজর কাড়বে বলেও দাবি তাঁর। পুজো কমিটির সম্পাদক কনোজ মণ্ডল কেরালা বেড়াতে গিয়ে রেশম গুটির মণ্ডপ দেখে অভিভূত হয়েছিলেন তিনি। তখনই এই ভাবনা নিয়ে মণ্ডপ করার চিন্তা মাথায় আসে তাঁর।
এবারের বাজেট সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সদস্য সোমনাথ সাহা, দেবাশিস হালদার, বাপ্পা পালদের দাবি, এখানে পুজোর চাঁদার জন্য কাউকে চাপ দেওয়া হয় না। মানুষ স্বেচ্ছায় পুজো কমিটিকে অর্থ সাহায্য করেন। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিয়ে সাহায্য করেন। রাজ্য সরকারের পুজো অনুদানও রয়েছে। এ বার, এই মণ্ডপের তিন জায়গায় সেলফি জোন তৈরি করা হয়েছে।