পুজোর উন্মাদনা শুরু। ছাতা সঙ্গে নিয়েই কি বের হতে হবে দর্শনার্থীদের? কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মাঝে মাঝে মেঘলা আকাশ থাকবে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি। তাই কিছুটা বৃষ্টি এবং বাকি সময় ঘর্মাক্ত অস্বস্তিকর আবহাওয়ার মধ্যেই চলবে ঠাকুর দেখা। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। একাদশী পর্যন্ত নতুন করে দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। আলিপুর জানাচ্ছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে নিম্নচাপ। অন্যদিকে আর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর বাংলাদেশ এবং উত্তরবঙ্গ লাগোয়া এলাকায়। সেই কারণে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুজোর দিনগুলোতে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি অক্ষরেখা বা বর্ষা বিদায় রেখা সুলতানপুর, পান্না, নর্মদাপুরম, খরগাঁ ও নবসারির উপর দিয়ে বিস্তৃত রয়েছে। আগামী দু-তিন দিনে গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের বাকি অংশ এবং মহারাষ্ট্রের আরও কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নেবে। ফলত, বাংলা থেকে বর্ষা চূড়ান্ত বিদায় নেবে আগামী ১৮ অক্টোবর।
কলকাতায় কেমন থাকবে?
সকালের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। পঞ্চমীর মতো পুজোয় আর বৃষ্টি নেই। ষষ্ঠী থেকে একাদশী দিনের যে কোনও সময় বিক্ষিপ্তভাবে আঞ্চলিক এলাকায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে হালকা মাঝারি দুই এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস পুজোয় নেই। তবে, সঙ্গে ছাতা রাখলে ভালো হয়। শহরে কাল রাতের তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি। কাল দিনের তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৩ থেকে ৯৫ শতাংশ। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে বৃষ্টি প্রায় থাকব না। ২০ অক্টোবর থেকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমতে শুরু করবে।
দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া?
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে কোনও কোনও জেলার দু’এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। পুজোর বিঘ্ন বা বিপত্তি ঘটার কোনও আশঙ্কা একাদশী পর্যন্ত নেই।
উত্তরবঙ্গে কেমন আবহাওয়া?
উত্তরবঙ্গে কোথাও পরিষ্কার আকাশ কোথাও বা আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। শুধুমাত্র পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। দশমীতে পার্বত্য ও ডুয়ার্স এলাকায় কিছুটা বাড়তে পারে বৃষ্টি। তবে তা খুব ভারী বা ভারী বৃষ্টি নয়।