সিজারের পরই তাঁর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সেলাই কেটে যাওয়ার পরই এমনটা ঘটেছে বলে জানায়। পুনরায় সেলাই করার সময় ওই রোগীর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজনের দাবি সঠিকভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে রোগী মৃত্যুর প্রতিবাদে মৃতদেহ নিয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। দফায় দফায় বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত, এরকমই ভয়ংকর ঘটনা ঘটে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ সন্তান প্রসবের জন্য শোভাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ইসরাত জাহান। ২১ তারিখ সন্তান প্রসবের জন্য অস্ত্রপ্রচার করা হয়। তখনই ভুল অস্ত্রোপচার করে ইসরাতের মূত্রথলি কেটে ফেলে চিকিৎসকরা বলে অভিযোগ । তারপর থেকে টালবাহানা করতে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইসরাতের কিডনি ফেল এবং সুগার,প্রেসার বেড়ে গিয়েছে বলেও অজুহাত দিতে থাকে। শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে ইসরাতের মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে ভুল চিকিৎসা করে কেন মেরে দেওয়া হল ইসরাতকে তার জবাব দিতে হবে এবং ইসরাতের আরও দুই সন্তান রয়েছে তাদের ভবিষ্যতের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলে তুমুল বিক্ষোভে পরিবার-পরিজনেরা এবং এলাকাবাসীদের।