এই সময়: কালের নিয়মে জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে অনেক কিছুই। সেই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস বাস্তব হয়ে ধরা দেবে নিউ আলিপুর সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপে। কলকাতার সুপারস্টার পুজো হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে সুরুচি সঙ্ঘ। থিমের অভিনবত্বের জন্য এই পুজোর বিশেষ সুনাম রয়েছে। এ বছর তাদের থিম ‘পুরানো সেই দিনের কথা’।এখানে এলে ফেলে আসা সময়কে চোখের সামনে দেখবেন দর্শকরা। মণ্ডপের ভিতর কোথাও চোখে পড়বে হলুদ ট্যাক্সি, কোথাও আবার দেখতে পাওয়া যাবে হাতে টানা রিকশা, পালতোলা নৌকা বা আমলের ঘড়ি। থিম ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা। পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা স্বরূপ বিশ্বাসের কথায়, ‘আমরা প্রতি বছরই দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিই। এ বারেও অন্যথা হচ্ছে না। নতুন প্রজন্ম হয়তো পুরোনো দিনের কথা ততটা জানে না। এখানে তারা ইতিহাসের শিকড়ে পৌঁছতে পারবে।’
প্রতিবারের মতো এ বারেও সুরুচি সঙ্ঘের থিম সং রচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার দিন মণ্ডপ উদ্বোধনের পাশাপাশি থিম সংয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর রচিত এই গানটিতে সুর করেছেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গানটি গেয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী মহালক্ষ্মী আইয়ার।
অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো এ বছর ৭৬-তম বছরে পা রাখল। তাদের এ বারের থিম ‘দৌড়’। মানবজীবনের অন্যতম সঙ্গী হলো ‘দৌড়’। একই সঙ্গে অহিংসার বার্তাও রয়েছে। তার জন্য অসুর, মহিষ, সিংহ— কারও মূর্তিতে পশুত্বের ছাপ রাখা হয়নি। মা দুর্গাকে দেখানো হয়েছে অতি সাধারণ এবং শান্তিময়ী রূপে। হিংসা এড়াতে মা দুর্গার হাতেও এ বার থাকছে না অস্ত্র। এখানেও শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা।
কেন্দুয়া শান্তি সঙ্ঘের পুজোর থিম হল অনুনাদ। প্রতিমা থেকে শুরু করে মণ্ডপসজ্জা— সব কিছুতেই থাকছে অভিনবত্ব। শিল্পী সুশান্ত পাল জানাচ্ছেন, যে কোনও উপাসনা গৃহে একটা পজ়িটিভ এনার্জি প্রবাহিত হয়। যা মানুষের দেহ এবং মনে সঞ্চারিত হয়। আলো ও শব্দের প্রয়োগে সেই অনুভূতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।