• ‘‌বড় পুজোর ভিড়ে গিয়ে গোলমালের অপচেষ্টা’‌, জুনিয়র ডাক্তারদের আক্রমণ করলেন কুণাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ মহাষষ্ঠী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠল মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই মহাষষ্ঠীর দুপুরে দক্ষিণ কলকাতায় অভয়া পরিক্রমায় নামেন জুনিয়র জাক্তাররা। তার জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় দক্ষিণ কলকাতায়। আরজি কর হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসক এবং জয়নগরে নিহত ৯ বছরের বালিকার প্রতীকী মূর্তি নিয়ে ম্যাটাডোরে চড়ে শহরে ঘুরছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই কর্মসূচি ঘিরে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতার রাজপথ। তবে ওই ম্যাটাডোর আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও বিপুল মানুষের চাপে সেই ম্যাটাডোর ছেড়ে দিতে হল পুলিশকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।

    আজ, বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করে পোস্ট করেন কুণাল। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অভয়া পরিক্রমার রুট শুরু হয় ধর্মতলা থেকে। সেখান থেকে প্রথমে কালীঘাট হয়ে মুদিয়ালি, সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী হয়ে বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, দেশপ্রিয় পার্ক, ত্রিধারা সম্মিলনী, বালিগঞ্জ কালচারাল থেকে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক, গড়িয়াহাট মোড় যাওয়ার কথা ছিল। তারপর পরিক্রমা গড়িয়াহাট মোড় থেকে ঢাকুরিয়া, যাদবপুর, বাইপাস হয়ে ধর্মতলায় শেষ হবে। এই বড় দুর্গাপুজোয় এভাবে উপস্থিত হলে যানজট চরমে উঠবে। মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়বেন। সে কথাই ফুটে উঠল কুণালের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে।


    ঢাক বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে এই অভয়া পরিক্রমা বের হয় শহরে। নানা পুজোমণ্ডপে গিয়ে লিফলেট বিলি করার পরিকল্পনা ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। তিনটি ম্যাটাডোরে চেপে রওনা হন তাঁরা। কিন্তু চাঁদনি চকের কাছে আটকে দেওয়া হয় ম্যাটাডোর। তখন পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা–ধস্তাধস্তি। এই আবহে ম্যাটাডোরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। স্লোগান ওঠে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তিনটি ম্যাটাডোরে হ্যান্ড মাইক এবং সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে। এই পরিক্রমায় ৬০–৭০ জন জুনিয়র ডাক্তার আছেন। কেন এমন পরিক্রমা প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ।

    এই ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম তখন কুণাল ঘোষ বোমা ফাটালেন এক্স হ্যান্ডেলে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে লেখেন, ‘‌ধর্মতলার মঞ্চে লোক আসছে না। ওদিকে পুজোয় ভিড়। তাই হঠাৎ ম্যাটাডোর নিয়ে বড় পুজোর ভিড়ে গিয়ে ঘুরে ঘুরে প্রচারের নামে যানজট, গোলমালের অপচেষ্টা। এটা কী করছেন একাংশের জুনিয়র ডাক্তার? সিবিআই চার্জশিটের পরেও পুজোর সময় অশান্তির চেষ্টা কেন? পুলিশের সংযম, সৌজন্যকে আঘাত করে যাঁরা বিপ্লবী সাজছেন, তাঁরা ন্যায়বিচার চান না, অশান্তির রাজনীতি চান।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)