• ইস্তফা দেওয়া ডাক্তাররা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছে কেন, খোঁচা দেবাংশুর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে ইস্তফা দিয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। তাতে স্বাভাবিকভাবেই চাপ পড়েছে রাজ্য সরকারের ওপর। তবে চিকিৎসকদের এমন পদক্ষেপকে মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার এ নিয়ে চিকিৎসকদের তীব্র নিন্দা করে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি মন্তব্য করেছেন, এবার প্রাইভেট চেম্বারে বসে ডাক্তাররা বড়লোকদের চিকিৎসা করবে। আর চিকিৎসা না পেয়ে গরিবরা মরবে।


    মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে গণ ইস্তফা দেন আরজি করের সিনিয়র চিকিৎসকরা। কাগজে সই করে সিনিয়ররা একের পর এক ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে তাদের গার্ড অফ অনার দিতে দেখা যায় জুনিয়রদের। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে দেওয়া চিঠিতে সিনিয়ররা দাবি করেছেন, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।এরপরেই চিকিৎসকদের চেম্বারে রোগী দেখা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এবার তীব্র আক্রমণ করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। 

    নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘যে ডাক্তারেরা সরকারি হাসপাতালে ডিউটি করবেন না বলে ইস্তফা দিলেন, তারা কিন্তু প্রত্যেকে প্রাইভেট হাসপাতালে বসবেন এবং বসছেন। অর্থাৎ, একজন মধ্যবিত্ত মানুষ সরকারি হাসপাতালে যে ডাক্তারের কাছে বিনামূল্যে পেতেন, এখন এই নতুন ড্রামাবাজির জন্য তাদের কাছে দেখাতে যেতে গিয়ে হাজার খানিক টাকা খরচ করতে হবে ভিজিট ফি হিসেবে।’ দেবাংশু সিনিয়র ডাক্তারদের খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আরও সোজা ভাষায় বললে, বড়লোকেদের ট্রিটমেন্ট হবে। গরিব-মধ্যবিত্তরা হয় ঘটি বাটি বেচুক, নয়ত মরুক! শাবাশ!’

    যদিও, আরজি করে চিকিৎসকরা আদৌও গণ ইস্তফা দিয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য এখনও রাজ্য সরকারের কাছে নেই। এবিষয়ে নির্দিষ্ট হওয়ার পরেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে ১০ দফা দাবি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জুনিয়রদের সমর্থনে গণ ইস্তফা দেন ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক। এক সিনিয়র ডাক্তারের কথায় অনশন হল একেবারে শেষ অস্ত্র। তাই উপায় না থাকায় জুনিয়ররা অনশনে বসেছেন। তাদের সমর্থন জানতেই এই সিদ্ধান্ত। 

    প্রসঙ্গত, সোমবার ‘‌রাত্তিরের সাথী’‌ প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এরপরের দিন মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্যের ২৩টি মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতার ৩টি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। তবে জানা যাচ্ছে, তাতে গণ ইস্তফা নিয়ে কোনও কথা হয়নি। ইস্তফা নিয়ে কুণা ঘোষও কটাক্ষ করে বলেছিলেন, সিনিয়র ডাক্তাররা বেসরকারি হাসপাতালে, চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করছেন না কোন স্বার্থে? সরকারি পরিষেবা ব্যাহত করে রোগীদের বেসরকারি ক্ষেত্রে ঠেলে দিচ্ছেন তারা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)