বলাগড়ের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ওল কিনেছিলেন। ‘সেই ওল খুব ভালো ছিল।…একটুও গলা ধরেনি’, চুঁচুড়ায় পুজো উদ্বোধনে এসে বললেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে ওল কেনার জন্য ট্রোলেরও শিকার হয়েছিলেন সাংসদ। রচনার জবাব, ‘এখন আর ওগুলো গায়ে মাখি না। সয়ে গিয়েছে।’গত মাসে হুগলির বলাগড়ে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান হুগলির সাংসদ। এক জায়গায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রচনাকে বলতে শোনা যায়, ডিভিসি ‘কুইন্টাল-কুইন্টাল জল ঢুকিয়েছে বাংলায়’। যা নিয়ে মিমের বন্যা বয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। সে দিনই ফেরার পথে রাস্তার ধারে এক চাষির কাছ থেকে বুনো ওল কেনেন রচনা। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তে তির্যক মন্তব্য উড়ে আসে।
রচনা এ দিন বলেন, ‘বলাগড়ের ওল খুব ভালো ছিল। ভালো খেয়েছি। একটুও গলা ধরেনি। আগামী দিনে আবার কিনব।’ তাঁর সংযোজন, ‘গরিব চাষিরা মাঠের ধারে ওগুলো বিক্রি করছিলেন। আমি চলতে গিয়ে দেখলাম, সেই কারণে ওঁদের থেকে কিনেছিলাম।’ তবে, তা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। রচনার উত্তর, ‘ মার্চ মাস থেকে ট্রোল হওয়া শুরু হয়েছে। এগুলো আমার আনন্দের অংশ হয়ে গিয়েছে।’
বুধবার হুগলির ধনেখালির কানানদী ব্যবসায়ী সমিতির পুজোর উদ্বোধনে আসেন হুগলির সাংসদ। পুজো কেমন কাটাবেন? রচনা বলেন, ‘এ বার পুজো ছোটো হয়ে গিয়েছে। অষ্টমী-নবমী এক দিনে পড়েছে। কলকাতার বাড়িতে পুজো আছে। সেখানে বন্ধু-বান্ধব আছে, ইচ্ছে আছে তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানোর। হুগলিতে আজ এসেছি।’ এরপর কলকাতার পুজোতেও থাকবেন তিনি বলে জানান।
তৃণমূল সাংসদ রচনার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘সাংসদ নিজেই বলেছেন মাসে একদিন দেখা দেবেন। তাহলে কী করে মানুষের মন জয় করবেন? কুইন্টাল কুইন্টাল জল বলে, ধোঁয়া দেখে, ভুল-ভাল বলে শুধু হুগলির মানুষকে না গোটা রাজ্যের মানুষকে আনন্দ দিচ্ছেন।’