রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা-সহ মোট ১০ দাবিতে ধর্মতলায় ৭ জুনিয়র ডাক্তার ‘আমরণ অনশন’ করছেন। পুজোর মাঝেও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন আন্দোলনরত ডাক্তারেরা। তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। বুধবারই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তারেরাও ‘গণইস্তফা’ দেন। একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে ই-মেল করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।বুধবার সন্ধ্যা ৭.৪৫ নাগাদ স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক করার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। বৈঠকে ৮-১০ জন প্রতিনিধি নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘আমরা কোনওরকম সমঝোতা করতে যাচ্ছি না। আমরা দুর্বল হয়ে পড়েছি এমনটা নয়।’ মুখ্যসচিবের ডাকা বৈঠকে তাঁদের দাবিগুলি তুলে ধরা হবে বলেই জানানো হয়।
গত শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে প্রথমে ছয়জন অনশন শুরু করেন। এরপর চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো অনশনে যোগ দেন। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, ১০ দফা দাবি পূরণ না হলে অনশনের পথ থেকে সরে আসবেন না।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হন অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। অনশন মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘এঁরা শুধু নিজেদের জন্য অনশন করছেন না। এদের অনশনকে ব্যর্থ হতে দেবেন না।’ মুখ্যমন্ত্রীকেও জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে আসার আহ্বান জানান তিনি।