• ‘‌নিজের সন্তানের মঙ্গল কামনায় ৯টা প্রদীপ জ্বালান’‌, আবেদন নির্যাতিতার মায়ের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ মহাষষ্ঠী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠল মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই মহাষষ্ঠীতে নয়া বার্তা দিলেন নির্যাতিতার বাবা–মা। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর থেকেই তরুণী চিকিৎসকের বাবা–মা রাস্তায় নেমেছেন। এবার দুর্গাপুজোর চারদিন তাঁরা ধরনায় বসে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই ধরনা শুরু হয়েছে। আজ ৯ অক্টোবর। ঠিক দু’মাস আগে এই তারিখেই মেয়েকে হারিয়ে ছিলেন তাঁরা। তাই আজ ৯ অক্টোবর বাংলার অভিভাবকদের কাছে নয়া বার্তা দিলেন তাঁরা।

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তার পর থেকেই কলকাতার রাজপথে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলন আজও চলছে দুর্গাপুজোর সময়। আজ বুধবার অভয়া পরিক্রমা শুরু হয়। তা নিয়ে পুলিশ বনাম জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। যাইহোক এতদিন কেটে গেলেও নিজের মেয়েকে হারানোর বেদনা ভুলতে পারছেন না বাবা–মা কিছুতেই। আজ তাঁদের ঘর ফাঁকা। তাই এই আবহে বাংলার মায়েদের কাছে নির্যাতিতার মা নয়া আবেদন করেছেন। সন্তানের কল্যাণের জন্য তাঁরা যেন ৯টি প্রদীপ জ্বালান। আজ ৯ অক্টোবর ৯টি প্রদীপ জ্বালাতে অনুরোধ করেছেন মেয়ে হারানো মা।


    ইতিমধ্যেই সিবিআই এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করেছে শিয়ালদা আদালতে। তাতে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের তদন্ত যে সঠিক পথেই এগোচ্ছিল সেটাতে সিলমোহর পড়েছে। সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা মা। আজ মহাষষ্ঠী থেকে মেয়ের বিচার চেয়ে ধরনায় বসছেন আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার মা–বাবা। মেয়ে হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়েই দুর্গাপুজোর সময় মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত ধরনায় বসে থাকবেন তাঁরা। এই ধরনা মঞ্চে তাঁদের সঙ্গে বাংলার মানুষ আসতেই পারেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

    তবে আজ দেখা গেল ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় নির্যাতিতার বাড়ি সোদপুরে পৌঁছে যান। মীনাক্ষী সেখানে পৌঁছে কথা বলেন বাবা–মা ও কাকিমার সঙ্গে। আর জনগণের কাছে আবেদন করেন, যাঁরা দুর্গাপুজোয় রাস্তায় বেরবেন তাঁরা একবার অন্তত বাবা–মায়ের ধরনা মঞ্চের সামনে এবং ধর্মতলায় ডাক্তারদের আমরণ অনশন মঞ্চে ঘুরে আসেন। নির্যাতিতার মা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘‌এই একটা ৯ তারিখ আমার জীবনকে ওলটপালট করে দিয়েছিল। আমাদের বাড়িতে ষষ্ঠী পুজো হতো। আমার মেয়ে আমি উপোস করে থাকতাম। আজও আমি উপোস করে আছি। আমার একটা মেয়েকে হারিয়েছি। হাজার হাজার ছেলে–মেয়ে রাস্তায় অনশন করছে। আজ ৯ তারিখ। রাত ৯টায় নিজের সন্তানের মঙ্গল কামনায় ৯টা প্রদীপ জ্বালান।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)