আরজি কর-কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হুমকি সংস্কৃতি (থ্রেট কালচার)-র বিষয়টি বার বার আলোচনায় এসেছে। ইতিমধ্যে আরজি কর কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপও করেছেন। এ হেন প্রেক্ষাপটে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারদেরই একটি অংশ বুধবার ষষ্ঠীর বিকেলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দ্বারস্থ হল। কুণালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, পক্ষপাত করে তাঁদের কেরিয়ার শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা কোনও কিছুতেই যুক্ত নন বলে দাবি তাঁদের। কুণালের মাধ্যমে তাঁরা সরকারের কাছে বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন। পাশাপাশিই তাঁরা হুঁশিয়ারির সুরে এ-ও বলেছেন, তাঁদের যে ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে, সে ব্যাপারে সরকার যদি বিকল্প পদক্ষেপ না করে, তা হলে তাঁরাও পুজোর পরে আমরণ অনশনে বসবেন।
কৌতূহলের বিষয়, এত লোক থাকতে কুণালের দ্বারস্থ হলেন কেন ‘অভিযুক্ত’ জুনিয়র ডাক্তারেরা? এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘আমিই ওঁদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনারা আমার কাছে এলেন কেন? আমি তো সরকারের কেউ নই। ওঁরা আমায় জানান, সংবাদমাধ্যমে ওঁরা দেখেছেন, চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়ে আমি সরকারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সেই সূত্রেই ওঁরা দেখা করেছেন।’’
তিনটি দলে ভাগ হয়ে মোট ১৮ জন দেখা করেন কুণালের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ‘অভিযুক্ত’ জুনিয়র ডাক্তারেরা কুণালকে বলেছেন, তিনি যেন সরকারের কাছে বার্তা পাঠাতে ভূমিকা নেন। তাতে কুণাল জানিয়েছেন, তিনি যথাস্থানে বার্তা পৌঁছে দেবেন। ‘অভিযুক্ত’ জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, বহিষ্কারের ফলে অনেকের যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নেমে গিয়েছে। ফলে তাঁদের কেরিয়ার প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। তা ছাড়া যে কমিটি অভিযুক্তদের শাস্তি দিয়েছে, তার অনেক সদস্যই পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ। সেই কমিটিতে থাকা দু’জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণইস্তফা’য় সই করেছেন বলেও দাবি তাঁদের।
কুণাল বলেছেন, ‘‘কারও বিরুদ্ধে সত্যিই অভিযোগ থাকলে পদক্ষেপ হোক। কিন্তু তাই বলে গণহারে এই রকম করা যায় না। তা ছাড়া পক্ষপাতের বিষয়টিও প্রমাণিত।’’ অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা হাসপাতালে থাকলে পরিষেবা সচল থাকবে, তাই তাঁদের ছেঁটে ফেলা হচ্ছে।