• ‘ব্যাড এম’ থেকে ‘গুড এম’, রতন টাটার প্রয়াণে সকলে শোকস্তব্ধ! মমতা বললেন শিল্পজগতে অপূরণীয় ক্ষতি
    আনন্দবাজার | ০৯ অক্টোবর ২০২৪
  • সিঙ্গুর থেকে ন‍্যানোর কারখানা সরিয়ে গুজরাতের সানন্দে নিয়ে যাওয়ার সময় রতন টাটা বলেছিলেন, তিনি ‘ব‍্যাড এম’ (মমতা) ছেড়ে ‘গুড এম’ (মোদী)-কে বেছে নিলেন। বুধবার মধ‍্যরাতে তাঁর প্রয়াণের অব‍্যবহিত পরে মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এবং নরেন্দ্র মোদী— দু’জনেই শোকস্তব্ধ। মমতা তাঁর শোকবার্তায় রতন টাটাকে ‘পরোপকারী’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। প্রায় একই ভাবে মোদী রতন টাটার মধ্যে মানবতা, মমতা ছিল বলে উল্লেখ করেছেন। সমাজ গঠনে তাঁর ভূমিকাও স্মরণ করেছেন মোদী।

    শুধু মোদী বা মমতা নন, শিল্পপতি রতন টাটার মৃত্যুতে মুহ্যমান দেশ। শোক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সকলেই এই মৃত্যুকে দেশের শিল্পক্ষেত্রের জন্য অপুরণীয় ক্ষতি হিসাবে উল্লেখ করেছেন। মমতা তাঁর এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন ভারতীয় শিল্প ক্ষেত্রের সবার আগে থাকা নেতা। একই সঙ্গে ছিলেন সাধারণ মানুষকে উৎসাহদাতা পরোপকারী।’’ আর মোদী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘এক জন অসাধারণ মানুষ ছিলেন রতন টাটা। তিনি ভারতের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যপূর্ণ শিল্পগোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর অবদান সংস্থার বোর্ডরুমের বাইরেও থেকেছে।’’ সমাজের উন্নতিতেও রতন টাটার অনেক অবদান ছিল বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।

    ২০০৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসে সিঙ্গুরে ন্যানো প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই মতো রাজ্য সরকার সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে। কিন্তু, অনেকেই জমি দিতে অস্বীকার করেন। সেই অনিচ্ছুক চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামে সেই সময়কার বিরোধী দল তৃণমূল। ধারাবাহিক সেই আন্দোলনের জেরে অনেক টানাপড়েনের পর টাটা গোষ্ঠী এ রাজ্য থেকে তাদের ন্যানো প্রকল্প তুলে নেয়।

    ৩ অক্টোবর, ২০০৮। সে দিন ছিল দুর্গাপুজোর চতুর্থী তিথি। দেবীপক্ষে ন্যানো প্রকল্প সিঙ্গুর থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন রতন টাটা। আর ২০২৪-এর দেবীপক্ষে ষষ্ঠীর রাতে ইহলোক ছেড়ে চলে গেলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার। মাঝখানে রয়ে গিয়েছে এক বড় অধ্যায়।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)