নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: দু’দিনে এক ডজন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তাঁকে ঘিরে মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। জেলার অধিকাংশ ছোট, বড় ও মাঝারি পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্বোধক হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন বহরমপুরের নতুন সাংসদ। জেলাবাসীর সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে চতুর্থী থেকেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘোরা শুরু করেন ইউসুফ। বহরমপুরের নামকরা বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনি প্রত্যন্ত গ্রামের এবং ব্লকের পুজোগুলির সমান গুরুত্ব দিয়ে উদ্বোধন করেন। বহু দুঃস্থ মানুষকে পুজোর উপহার তুলে দেন। ষষ্ঠীর সকালেও বেলডাঙার মণ্ডপে পুজো উদ্বোধনে দেখা যায় ইউসুফকে। পঞ্চমী রাতে নওদা ব্লকে পাঁচটি পুজোর উদ্বোধন করেন ইউসুফ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান।
গত কয়েক দিনে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের সঙ্গে ইউসুফ বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধনেও যান। প্রতিটি জায়গায় ইউসুফকে কাছে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা দেখা যায়। ইউসুফ মণ্ডপে দাঁড়িয়ে জেলাবাসীকে শারদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই জেলা সম্প্রীতির জেলা। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সকলে একসঙ্গে এখানে বাস করি। এই উৎসব আমাদের সকলের। সকলে ভালোভাবে পুজো কাটান। শারদ উৎসবে মেতে উঠুন।
অপূর্ববাবু বলেন, চতুর্থী থেকে এক ডজন পুজোর উদ্বোধন করে ফেলেছেন আমাদের প্রিয় সাংসদ। সম্প্রীতির এই উৎসবে আমরা সকলেই শামিল হয়েছি। জেলার মানুষ ভালোভাবে পুজো কাটান। আমাদের সাংসদও সকলকে সেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমরাও আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলাবাসীর সঙ্গে খুশির উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছি।
সাংসদ আবু তাহের বলেন, সম্প্রীতির উৎসব আমরা সকলে মিলে উদযাপন করছি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার বহু ক্লাবকে ৮৫হাজার টাকা করে পুজোর সাহায্য করেছেন। সেই জন্য বহু পুজোয় জাঁকজমক বেড়েছে। শহরের পুজাগুলি যেমন বড় হচ্ছে, ইদানীং গ্রামের পুজোগুলিও খুব ভালোভাবে করা হচ্ছে। আমরা সমস্ত পুজোয় অংশ নিচ্ছি। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে সাধারণ মানুষকে শারদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি শফিউজ্জামান শেখ বলেন, ভোটের আগে বিরোধীরা বলছিল ইউসুফ পাঠানকে নির্বাচন মিটলে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু, তিনি প্রতিটি উৎসবে জেলাবাসীর সঙ্গে আনন্দভাগ করে নিচ্ছেন। শহরের বড় পুজোর পাশাপাশি গ্রামেও যে উৎসব ঘিরে কী পরিমাণ উন্মাদনা থাকে, তা এদিন সাংসদ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছেন। গ্রামের পাঁচটি পুজোর উদ্বোধনের পর তিনি বহু মানুষের হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন। সকলেই তাঁকে দেখার জন্য পুজো মণ্ডপে ভিড় জমান।