খেলাধুলোর জগতে উজ্জ্বল বিএসিএ পুজোতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে
বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, বোলপুর: খেলাধুলার জগতে বীরভূম জেলার যে ক’টি ক্লাব নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম বোলপুর অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ((বিএসিএ)। ক্লাবটি বোলপুরের মিশন কম্পাউন্ড এলাকায় অবস্থিত। গত শতকের সাত-আটের দশকে এই ক্লাবের সদস্যরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দাপিয়ে ফুটবল, ক্রিকেট খেলে প্রচুর কাপ, ট্রফি, শিল্ড জিতেছেন। খেলাধুলার পাশাপাশি পরবর্তীতে দুর্গাপুজোও শুরু করেন ক্লাব সদস্যরা। একটা সময় খেলার মাঠে যেমন দাপট দেখিয়েছিল, বর্তমানে সেই একইভাবে দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জা, প্রতিমা ও থিম ভাবনার নিরিখে জেলার অন্যতম সেরা পুজোর তকমা আদায় করে নিয়েছে এই ক্লাব। এ বছর তাদের পুজো ৩৮ বছরে পা দিল। তবে থিম বা ভাবনা যাই হোক, ‘আড্ডা- গল্পই’ এ পুজোর মূল আকর্ষণ। কারণ মণ্ডপের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ, আর সেখানেই বোলপুর শান্তিনিকেতনের অধিকাংশজন ভিড় করে প্রাঙ্গণকে কার্যত মিলনমেলায় পরিণত করে।
বোলপুর শহরের মাঝামাঝি জায়গায় মিশন কম্পাউন্ড। বর্তমানে এটি বোলপুরের নয় নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। লালপুলের বাঁদিকে বিশাল জায়গাজুড়ে বিএসিএ-র পুজো মণ্ডপ। প্রতিবছরই নিত্যনতুন থিম ভাবনায় চমক দেয় এই ক্লাব। এবছর বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের লক্ষ্যে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি ও বিভিন্ন জন্তু-জানোয়ারের মড়েলে সে উঠেছে মণ্ডপ। সেই কাজে স্পঞ্জ, তার, বাতা, কাপড় প্রভৃতি উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে। ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ অতনু ঘোষ বলেন, বোলপুর-শান্তিনিকেতনে শিল্পীর অভাব নেই। তাঁদেরই মণ্ডপসজ্জার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোনও বছরই তাঁরা নিরাশ করেননি। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় এই পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। এই ক্লাবের অন্যতম সদস্য প্রেমদীপ চট্টোপাধ্যায়। যিনি পেশাগতভাবে বিসিসিআইয়ের প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার, তিনি বলেন, মণ্ডপে এলে আনন্দে মেতে উঠি। যে ক’দিন থাকব আনন্দে হইহুল্লোড় করে কাটাব। সম্পাদক তপন দলুই বলেন, কোনওবারই এই পুজোয় চাঁদা নেওয়া হয় না। উৎসবের দিনগুলিতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষের ভিড় হয়। তা দেখেই বিভিন্ন কোম্পানি উৎসাহিত হয়ে আমাদের পুজোয় বিজ্ঞাপন দেয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা আমাদের প্রভূত সাহায্য করে। স্থানীয় কাউন্সিলার তথা সক্রিয় সদস্য শুভ্রা হাজরা বলেন, এত উৎসব, আনন্দ আয়োজন করতে পারার পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর অনুদানের বড় ভুমিকা রয়েছে। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।