• ষষ্ঠীতে দেদার বিক্রি ফুটপাত বাজারে, নতুন কাপড় কিনলেন খেটে খাওয়া মানুষ
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি: ষষ্ঠীর সকাল। পুজোর শেষ বাজার। আকাশ পরিস্কার দেখে মনে আশা ছিল ব্যবসায়ীরা। প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিলেন। হলও তাই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুটপাত বাজারে ভিড় উপচে পড়ল। চলল দর হাঁকাহাঁকি। তাতেই ফুটপাত বাজার যেন সর্বজনীন রূপ পেল। পুজোর শেষ কেনাকাটায় শিলিগুড়িতে দলে দলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ক্রেতারা। ছোট থেকে বড়, প্রবীণ,সেই ভিড়ে সবাই এক। বিক্রিও হল দেদার।  মহাবীরস্থান, হিলকার্ট রোডে, বিধান রোড, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, কালীবাড়ি রোডের বাজারে দল বেঁধে মানুষ কেনাকাটা সেরে ব্যাগ ভরে নতুন কাপড় নিয়ে ফিরলেন।

    খেটে খাওয়া মানুষের সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণ করে এই ফুটপাত বাজারগুলি। সেখানে সাধ্যের মধ্যে দামে নানা ধরনের জামা কাপড়ের সমাহার। আর সেখান থেকেই খেটে খাওয়া মানুষ পরিবারের সকলকে পুজোর নতুন কাপড় কিনে দেওয়ার আনন্দ খুঁজে পান। 

    ফুটপাতে কত রকমের শাড়ি, মেয়েদের পোশাক, ছেলেদের টি-শার্ট, জামা প্যান্ট। যা কেনার জন্য এদিন ফুটপাত বাজারগুলিতে ছিল থিক থিক ভিড়। নতুন জামাকাপড় কিনে একদল মানুষ যখন ঘরে ফেরার পথ ধরলেন, সেই সময় আরএক দল মানুষ এসে ভিড় করলেন মহাবীরস্থানে। এভাবেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিলিগুড়ির ফুটপাত বাজারগুলি জমজমাট ছিল ক্রেতাদের ভিড়ে। পাশাপাশি বড় দোকানেও ছিল যথেষ্ট ভিড়।

    বহু মানুষ পুজোর নতুন জামা কাপড় কেনার জন্য বোনাস ও বেতনের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই টাকা হাতে পেতেই তাঁরা বাজারমুখো হতে শুরু করেন। বুধবার পুজোর শেষবাজারে যা জন জোয়ারের চেহারা নেয়। কেনাকাটায় মানুষের ঢল দেখে খুশি ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। টাউন স্টেশনের পরিমল ঘোষ, মহাবীরস্থানের রাকেশ সাহা, হিলকার্ট রোডের দেবু ঘোষরা বলেন, আমরা এই দিনেরই অপেক্ষায় ছিলাম। জানতাম, খেটে খাওয়া মানুষ হাতে টাকা পেলে বাজারে আসবেন। বড় দোকানের মতো আগে থেকে আমাদের ফুটপাত বাজার জমে ওঠে না। বোনাস এবং বেতনের টাকা পাওয়ার পরই খেটে খাওয়া মানুষ বাজারে আসতে শুরু করেন। সেইমতো এদিন  আমাদের বাজার জমে ওঠে। ভালোই বিক্রি হয়েছে।

    দেবু ঘোষ, রাকেশ সাহা নামে বিক্রেতারা বলেন, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই বাজারে একটু একটু করে জমে উঠছিল। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি এসে সব ভেস্তে দিয়ে যায়। সকলে হতাশ হয়ে ফিরে যান। আমরাও দোকান তুলে নিতেই বাধ্য হই। বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নীচে দোকান করা সম্ভব নয়।  কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এদিন সকাল হতেই পরিষ্কার আকাশ ঝলমলে রোদ দেখেই আশা নিয়ে দোকান খুলেছিলাম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই আশা আমাদের পূরণ হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)