• জল সংরক্ষণ, স্মার্টফোনের কুপ্রভাব তুলে ধরেই মিলল রাজ্যের স্বীকৃতি
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জল সংরক্ষণ ও স্মার্ট ফোনের কুপ্রভাব তুলে ধরে মিলল বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান। বুধবার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় চারটি ক্যাটিগরিতে জলপাইগুড়ি জেলার মোট ১২টি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়। সেরা সমাজ সচেতনতা, সেরা প্রতিমা, সেরা মণ্ডপ ও সেরা পুজো বিভাগে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৩০ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসকের দপ্তরে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক শমা পারভীন, পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। 

    পানীয় জলের অপচয় রোধ ও জল সংরক্ষণের বার্তা দিয়ে সমাজ সচেতনতা বিভাগে পুরষ্কৃত হয়েছে ময়নাগুড়ির নতুনবাজার সর্বজনীন পুজো কমিটি। এই বিভাগেই পুরস্কার পেয়েছে ধূপগুড়ির মিলন সঙ্ঘ। মোবাইলের কারণে শৈশব কীভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ছে, পুজোর থিমে সেটাই তুলে ধরেছে তারা। এই বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে জলপাইগুড়ির কোরক হোম। শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দিয়েছে তারা। 

    সেরা মণ্ডপের পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে জলপাইগুড়ির দিশারী ক্লাব, পাতকাটা কলোনি কালচারাল ক্লাব ও পাঠাগার এবং জলপাইগুড়ি শহরের মহুরিপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো সমিতি। বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে সেরা প্রতিমার পুরস্কার পেয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভার অন্তর্গত হায়দরপাড়া স্পোর্টি ক্লাব, নিউ জলপাইগুড়ির সেন্ট্রাল কলোনি দুর্গাপুজো কমিটি এবং রাজগঞ্জের ফুলবাড়ি বটতলা দুর্গাপুজো কমিটি। জেলার সেরা পুজোর স্বীকৃতি পেয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি, ময়নাগুড়ির ওয়েস্ট আনন্দনগর ইয়ুথ ক্লাব এবং জলপাইগুড়ির অসম মোড় তারাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) ধীমান বাড়ই জানিয়েছেন, এবার ৩০ সেপ্টেম্বর আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানের জন্য জলপাইগুড়ি জেলার মোট ৩৫টি পুজো কমিটি আবেদন করে। পঞ্চমীতে বিচারকদের পাঁচটি টিম ঘুরে দেখে তাদের পুজো। তারই ভিত্তিতে ১২টি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হল।

    (ময়নাগুড়ি নতুনবাজার সর্বজনীন পুজো কমিটির প্রতিমা। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)