• সন্ধ্যা নামতেই ভিড় আছড়ে পড়ল জলপাইগুড়ির পুজো মণ্ডপগুলিতে
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: পঞ্চমীর বিকেল থেকে মুখভার ছিল আকাশের। রাতে হয় ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ছাতামাথায় মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরের মানুষ। কিন্তু বুধবার মহাষষ্ঠীতে আকাশ পরিষ্কার থাকার সুদে-আসলে তা পূরণ করতে দেখা গেল শহরবাসীকে। সূর্য পশ্চিমে ঢলতেই শুরু হয়ে যায় মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীর ভিড়। কেবল তাই নয়, বাজারে-শপিংমলে বিশেষ ছাড়ে জামাকাপড়, চটি-জুতো কিনতেও দেখা যায় অনেককে। 

    বছর পাঁচ-সাতেক আগেও চতুর্থী কিংবা পঞ্চমীতে পুজো মণ্ডপ বা প্রতিমা দর্শনের ট্র্যাডিশন জলপাইগুড়ি শহরবাসীর মধ্যে তেমন ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন এই বিষয়টিকে আরও প্রভাবিত করেছে বলেই মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। এ বছর বলতে গেলে জলপাইগুড়িতে চতুর্থী থেকেই পুজো দেখা শুরু হয়ে যায়। বুধবার মহাষষ্ঠীতে তা আরও গতি পায়। 

    বিকেল থেকে শহরের পান্ডাপাড়া সর্বজনীন, মহুরিপাড়া সর্বজনীন, দিশারী, তরুণ দল, জাগ্রত সঙ্ঘ সহ বড় পুজো মণ্ডপে ভিড় ছিল চোখে পড়ার  মতো। দিশারী ক্লাবের দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য পিনাকপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, বিকেল থেকে ভিড় শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার পর ভিড় সামাল দেওয়াতে কিছুটা সমস্যা হওয়ায় মণ্ডপের সামনের রাস্তায় এবং মণ্ডপের ভিতরে অতিরিক্ত ভলান্টিয়ার রাখতে হয়েছে। প্রায় প্রতিটি পুজো মণ্ডপের সামনেই করা হয়েছে সেল্ফি জোন। সেখানে কিশোর কিশোরী থেকে যুবক যুবতীদের ছবি তোলার হিড়িক দেখা গিয়েছে। 

    শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে পুলিস প্রশাসন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করলেও বড় পুজো মণ্ডপে যাওয়ার গলির রাস্তায় দর্শনার্থীদের ভিড়ে আটকে পড়ে বাইক, স্কুটার, ছোট গাড়ি। ফলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিস কর্মীদের হিমশিম অবস্থা হয়। যদিও জলপাইগুড়ি জেলা ট্রাফিক পুলিস বিভাগের বক্তব্য, যান নিয়ন্ত্রণে শহরে প্রায় পাঁচশো জন ডিউটি করছেন। শহরে ঢোকার সাতটি পয়েন্টে ড্রপ গেট করা হয়েছে। যেখানে বিকেল থেকে আটকে দেওয়া হচ্ছে টোটো, বাস, পণ্যবাহী গাড়ি। গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তার মোড়ে, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সামনে পুলিস কর্মীরা আছেন।  
  • Link to this news (বর্তমান)