নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কৃষকদের সুবিধার্থে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বাংলা শস্যবিমা যোজনায় নাম নথিভুক্ত করার সময়সীমা। কৃষি দপ্তরের আশা, চলতি মাসের বর্ধিত এই সময়সীমায় উত্তর দিনাজপুরে ৩ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি কৃষক বিমার আওতায় আসতে পারেন। ইতিমধ্যে জমা পড়ে গিয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার কৃষকের আবেদন।
এবার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলা শস্যবিমায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য কাজ শুরু হয় কৃষি দপ্তরের। কিন্তু মাঝে দফায় দফায় শিলাবৃষ্টি, ঝড়, অতিবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলতে থাকে। এরপরই কৃষকদের বিমা করানোর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত।
শিলাবৃষ্টি, ঝড়, অতিবৃষ্টি, ভূমিধস, বন্যার মতো কিছু কারণে ফসল নষ্ট হলে এই বিমার সুবিধা মিলবে। কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয় কৃষকদের।
কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, জেলার কৃষকদের বাংলা শস্যবিমা যোজনার আওতায় আনার জন্য শহরতলী সহ প্রান্তিক গ্রামেও প্রচার চলছে। বিমা সংস্থাও গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে। মোট ৪ লাখ কৃষককে তাঁরা ফর্ম বিলি করেছেন। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। বাকিদের আবেদন এখনও এসে পৌঁছয়নি কৃষি দপ্তরের কাছে।
জেলা কৃষি আধিকারিক প্রিয়নাথ দাস বলেন, এই মরশুমে জেলায় মূলত ধান চাষ হয়। ধান চাষিদের ক্ষতি রুখতে এই বিমার ব্যবস্থা। এর জন্য প্রথমে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কৃষকদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। পরে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। কৃষকদের সাহায্য করার জন্য কৃষিদপ্তর ও বিমা সংস্থা সহযোগিতা করছে। নির্দিষ্ট ক্যাম্পগুলিতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিলেই ফসলের বিমা করা হচ্ছে।