নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের উপর কোনও নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত বা নিদেনপক্ষে নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে না। তা সত্ত্বেও পুজোর সময় রোজ কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোনও কোনও জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘসঞ্চার থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার ষষ্ঠীর দিনও তা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সপ্তমীতেও রাজ্যজুড়ে আবহাওয়ার এরকমই মতিগতি থাকবে। আগামী কাল, শুক্রবার বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে উপর একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এটা হচ্ছে সেই কারণেই। বিপরীত ঘূর্ণাবর্তটি থাকার জন্য বঙ্গোগপসাগর থেকে এখনও কিছুটা বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প রাজ্যের বায়ুমণ্ডলে ঢুকছে। ওই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত বিভিন্ন জায়গায় বজ্রমেঘের সঞ্চার হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, বর্ষা মরশুমের বিদায়ের সময় এটা হয়ে থাকে। বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্র থেকে স্থলভূমিতে ঢুকে গেলে জলীয় বাষ্প প্রবেশের পরিমাণ কমে যায়। এবারও তাই হবে। এই কারণেই শুক্রবারের পর রাজ্যে বৃষ্টি আরও কমে যাবে। জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ রাজ্যের সব জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবার থেকে শুধু হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।
এদিকে, আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত থেকে পুরোপুরি বর্ষা বিদায় নেবে। ওইসঙ্গে বর্ষা বিদায় নেবে বিহারেরও কিছু এলাকা থেকে। চলতি সপ্তাহে পূর্ব ভারত থেকে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সপ্তাহে রাজ্য থেকে বর্ষার বিদায় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। আশা বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়ের স্বাভাবিক দিন ছিল আজ, ১০ অক্টোবর।