• এ রাজ্যেও ‘স্বঘোষিত বাবার’ কুকীর্তি! কেন গ্রেপ্তার নয়, জানতে চায় হাইকোর্ট
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাবা রাম রহিম কিংবা আশারাম বাপুর মত ধর্মগুরুদের কেচ্ছা কেলেঙ্কারির কাহিনী কারও অজনা নয়। আর এবার এবঙ্গেও এক স্বঘোষিত ‘বাবা’-র বিরুদ্ধে একাধিক কুকীর্তির অভিযোগে জল গড়াল হাইকোর্ট পর্যন্ত। রাম রহিম কিংবা আশারামের মতই প্রথমে তরুণীদের বিশ্বাস অর্জন করে পরে তাঁদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ ও ধর্ষণের মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই স্বঘোষিত ইউটিউব বাবা গোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রী-র বিরুদ্ধে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, উত্তর প্রদেশের মথুরা-বন্দাবন থেকে পাঞ্জাবের এই স্বঘোষিত গুরুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিস এখনও এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আপাতত তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর সিঙ্গল বেঞ্চ। 

    ঘটনা হল, ইউটিউবে এই স্বঘোষিত বাবার ভিডিয়ো দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ২৯ বছরের এক তরুণী। তারপর বীরভূমের সিউড়ির রাজনগরে নিজের মায়ের সঙ্গে গোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অভিযোগ, ওই তরুণীর ভক্তি’র সুযোগ নিয়ে গুরুজি তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার দাবি, এর আগেও বহু তরুণীকে ওই ব্যক্তি যৌন সংসর্গ করতে বাধ্য করেছেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে। পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি বলেও দাবি তাঁর। উল্টে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন গেবিন্দ বল্লভ। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তরুণী। 

    বিচারপতি ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলার শুনানিতে তরুণীর আইনজীবী উদয় শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ২০২৩ সালের জুন মাসে দীক্ষা দেওয়ার নাম করে তরুণীকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ডেকে পাঠান এই স্বঘোষিত গুরু। সেখানেই তাঁকে যৌন সংসর্গে বাধ্য করেন। এরপর নন্দীগ্রামের একটি আখড়ায় যাওয়ার পর সেখানেও তাঁকে গোবিন্দবল্লভ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। উদয়বাবু দাবি করেন, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের মথুরাতেও তাঁর বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা রয়েছে।   বৃন্দাবনে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা রয়েছে। তাই অবিলম্বে তাঁর ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হোক। ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। এত অভিযোগ সত্ত্বেও, পুলিস কেন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। আপাতত তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। পুজোর ছুটির পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই স্বঘোষিত বাবার সঙ্গে বারবার চেষ্টা করা হলেও, যোগাযোগ করা যায়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)