• ডিপোজিটে টান, নয়া অ্যাকাউন্ট খুলতে আত্মীয়দের আর্জি জানাবেন ব্যাঙ্ককর্মীরা
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিগত কয়েক মাস ধরেই ব্যাঙ্কের আমানতে জমা টাকার পরিমাণ কমছে। সেই তুলনায় বেড়ে যাচ্ছে ঋণ দেওয়ার হার। এই অসাম্য দুশ্চিন্তায় রেখেছে সরকার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে। তাই আমানতে জমার অঙ্ক বাড়ানোর জন্য হাল ধরতে অনুরোধ এসেছে ব্যাঙ্কের কর্মী ও অফিসারদের কাছে। তাঁরা যাতে ব্যক্তিগত পরিসরে পরিচিত লোকজনকেও নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার পারামর্শ দেন, সেই অনুরোধ করা হয়েছে তাঁদের।

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, দেশে ঋণ নেওয়ার হার বেড়েছে ১৭.৪ শতাংশ। আমানতে টাকা রাখার হার বেড়েছে ১১.১ শতাংশ। এই দুই ক্ষেত্রে ভারসাম্য থাকা জরুরি। তা না থাকায় ডিপোজিট বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমানত সংগ্রহ বাড়াতে সম্প্রতি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চিফ জেনারেল ম্যানেজার বৈঠক করেন কর্মী ও অফিসারদের সঙ্গে। সেখানে তাঁরা যৌথভাবে একটি সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক হয়, কর্মীরা যেখানে যে পদমর্যাদায় কাজ করুন না কেন, তাঁরা ব্যক্তিগত পরিসরে আমানত সংগ্রহে জোর দেবেন। তাঁদের কাছে আর্জি রাখা হয়, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজন ও পরিচিতদের মধ্যে তাঁরা নতুন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করবেন। এতে নতুন আমানত সংগ্রহ সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই যাঁরা গ্রাহক রয়েছেন, তাঁরা যাতে বেশি করে টাকা জমা রাখেন, সেই আর্জিও জানাতে বলা হয়। সব কর্মী যেন আন্তরিকভাবে এই উদ্যোগে শামিল হন, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে যাঁরা সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আসবেন এবং উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে, আগামী ডিসেম্বর মাসে তাঁদের স্বীকৃতি দেবে ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে। 

    ব্যাঙ্কের এই উদ্যোগকে সদর্থক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন কর্মী ও অফিসাররা। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমানত বাড়ানোর জন্য মূলত উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাঙ্ক। আমরা সেখানে নিজেদের মতো সাহায্য করছি। আমরাও কর্মী ও অফিসার নির্বিশেষে সঞ্চয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছি। তার কারণ, সঞ্চয় সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে। কর্মক্ষেত্রেও সেই কাজ করছি আমরা। ব্যাঙ্ক যেমন প্রচার চালাচ্ছে, তেমনই স্বল্প সঞ্চয়ের প্রচারে শামিল হয় সরকারও। আমানত বৃদ্ধি যেমন ব্যাঙ্ক বা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন, তেমনই ব্যক্তিগত স্তরে সঞ্চয় বৃদ্ধিও জরুরি। সেই সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা এগিয়ে এসেছি।’
  • Link to this news (বর্তমান)