কল্যাণী শহরের বড় পুজো মণ্ডপের ভিড় নিয়ে অতিষ্ঠ এলাকার একাংশ বাসিন্দা
বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, কল্যাণী: মহালয়ার দিন থেকেই কল্যাণীতে মানুষের ঢল নেমেছে। পুজোর দিন যত এগচ্ছে লাফিয়ে বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। পুলিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লক্ষাধিক মানুষ আসছেন প্রতিদিন। তবে এখনও পর্যন্ত এবার এ-ব্লকের তুলনায় বি-ব্লকে ভিড় বেশি হয়েছে। ট্রেনগুলিতে বাদুরঝোলা ভিড়। মূলত ভিড় কল্যাণীর এ-নাইন স্কোয়ার পার্ক, লুমিনাস ক্লাব এবং রথতলা সর্বজনীনের পুজো মণ্ডপে। ভোর থেকে মাঝরাত— সামান্য সময়ের জন্যও ফাঁকা হয়নি মণ্ডপ। এর ফলে গোছানো, নিরিবিলি, ছোট শহর কল্যাণীর প্রধান সড়কগুলি কার্যত নোংরায় ভরে গিয়েছে। বাসিন্দারা এর জন্য শহরের বাইরে থেকে আসা কিছু অসচেতন দর্শনার্থীকেই দায়ী করছেন। তাঁরা রাস্তায় যেখানে সেখানে খাবারের প্যাকেট, উচ্ছিষ্ট, জলের বোতল ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বহু গৃহস্থের বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে মলমূত্রও ত্যাগ করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এভাবে চললে শহরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অতিষ্ঠ হয়ে বহু মানুষ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন।
এ বিষয়ে কল্যাণী শহরের বাসিন্দা শান্তি বালা বলেন, বাড়ির পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে মলত্যাগ করে গিয়েছে কেউ। এ জিনিস সহ্য করা যায় না। বারাসত থেকে আসা এক দর্শনার্থী সুখেন দাস বলেন, বারাসত শহরে কালীপুজোয় বা কলকাতায় দুর্গাপুজোয় যখন অন্যান্য জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন, তখন আমরা তাঁদের সাদরে গ্রহণ করি। আসলে কল্যাণী শান্ত, নিরিবিলি জায়গা বলে এত ভিড়ে বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছে। কয়েক বছর এভাবে চললে এখানকার বাসিন্দাদের অভ্যাস হয়ে যাবে। এ বিষয়ে কল্যাণীর এক পুজো কমিটির উদ্যোক্তা বলেন, দুর্গাপুজো মানুষের আবেগ। বাইরে থেকে মানুষ আমাদের শহরে আসছেন। তাঁদের সাদরে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। তা না করে কিছু মানুষ সমালোচনা করছেন। এটা ঠিক নয়। এছাড়াও এত ভিড়ে প্রচুর মানুষের রুটি-রুজির সংস্থান হয়।